দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ তাপদাহের অসহনীয় দাবানলে পুড়ছে দেশ সেই সাথে বাজার ব্যবস্থায় আগুন ধরার উপক্রম ঘটেছে। বিশেষ করে সবজি বাজারে পরিস্থিতি খুবই নাজুক। গত একমাসের ব্যবধানে সাতক্ষীরার সবজি বাজারের মুল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটেই চলেছে এবং অবিরাম ছুটছে। প্রতিটি সবজির মুল্য ক্রমবর্ধমান গতিতে বাড়ছে। সাতক্ষীরার বড় বাজার সহ মফস্বল এলাকার বাজার গুলোতে সবজি ক্রয়ে আসা ক্রেতা বাজেট ফেল করছে। বাজার গুলোতে সবজির ঘাটতি খুব বেশী না থাকলেও ব্যাপক উপস্থিতি ও তেমন নয়। সাতক্ষীরার বড় বাজার, বউ বাজার, পাকাপুল, কামালনগর বাজার, হাটের মোড় সহ উপজেলা ভিত্তিক হাটবাজার গুলোতে পরিদর্শন করে ও অনুসন্ধানে দেখা গেছে গোল আলুর বাজার উর্ধ মুখি। প্রতি কেজি গোল আলুর সাতচল্লিশ থেকে আটচল্লিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অতীতে সাতক্ষীরা কেন দেশের কোথাও আলূর মূল্য এমনটি ছিল না। আলু ব্যবসায়ী সহ সবজি ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানাগেছে চলতি মৌসুমে গোল আলু বিশ/বাইশ টাকা কেজি প্রতি, নামছিল। হঠাৎ করে মুল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আগামীবছর অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করার আশায় পাইকার আলূ ব্যবসায়ীরা শত শত মন আলূ সংগ্রহ করে হিমাগারে রেখেছে যে কারনে বর্তমান বাজারের চাহিদানুযায়ী আলূর সংকট আর সংকট থেকেই মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা ঘটছে। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের সবজি হিসেবে পুইশাকের পরিচিতির শেষ নেই কিন্তু সাতক্ষীরার হাটবাজর গুলোতে প্রতিকেজি পুইশাক বিক্রি হচ্ছে পঁচিশ/ত্রিশ টাকায় লাল সবুজ শাকবিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি চল্লিশ/পয়তাল্লিাশি টাকায়। ছোট এবং মাঝারী সাইজের লাউ চল্লিশ/পঞ্চাশ টাকা হঠাৎ করেই কাঁচ কলার মূল্য বেড়ে কেজি প্রতি চল্লিশ/পয়তাল্লিশ টাকায় দাড়িয়েছে। ডয়রা কলা যাকে অনেকে বিচি কলা বলে থাকে এই কলার বাজারেও আগুন ধরেছে। কাচকলার সমান কেজি প্রতিবিক্রি হচ্ছে চল্লিশ/পয়তাল্লিশ টাকায়। ঢেড়শ কেজি প্রতি চল্লিশ টাকা, পটল কেজি প্রতি ত্রিশ/পয়ত্রিশ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি প্রতি চল্লিশ টাকা, ঝিঙা কেজি প্রতি পয়ত্রিশ চল্লিশ, ধুন্দল কেজি প্রতি ত্রিশ পয়ত্রিশ টাকা, ঔষধী সবজি হিসেবে পরিচিত পিপির বাজার ও অস্থির কেজি প্রতি চল্লিশ টাকায় পৌছেছে। বেগুনের বাজার কিছুটা সহনশীলও কেজি প্রতি চল্লিশ টাকার কম নয়। ব্যবসায়ীদের অনেকে বলছেন প্রচন্ড তাপদাহের কারনে সবজি উৎপাদনে অনেকাংশে ব্যবহৃত হওয়ায় তার প্রভাব বাজারে পড়েছে। সবজির বাজারের মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার ন্যায় মাছ মাংসের বাজারও অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেছে। ছোট আকৃতির তেলাপিয়া মাছ ও কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে নব্বুই থেকে একশত টাকায় কেজি কেজি রুই, কাতলা মৃগেল কেজি প্রতি দুই শত টাকা ছাড়িয়েছে। চাষী পাঙ্গাস ও মুল্য বৃদ্ধির তালিকায় কেজি প্রতি একশত সত্তর আশি বড় আকৃতির দুইশত পঞ্চাশ বা তার বেশী। গরুর আর খাসির মাংস যেন দিনে দিনে দুর্লভ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে কেজি প্রতি সাতশত থেকে সাড়ে সাতশত টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস খাসির মাংস অনেক আগেই কেজি প্রতি হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। বাজার ব্যবস্থার এই নাজুক সময় গুলোতে বাজার মনিটরিং এর বিকল্প নেই।