বিশেষ প্রতিনিধি ॥ শ্যামনগর উপজেলার নূরনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ভ্যান চালক নিহত ও ১ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। গত ৬ মে সোমবার রাত ১০টার দিকে নূরনগরের কাটাখালি ব্রিজ সংলগ্নে ইঞ্জিন ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিদ্যুতের খুঁটির গায়ে সজোরে ধাক্কা লেগে ভ্যানচালক কাটাখালি গ্রামের আব্দুর রহিমের পুত্র মনিরুল ইসলাম (৩০) নিহত হয় ও এসময় ভ্যানে বসে থাকা যাত্রী দুরমুজখালি গ্রামের মোঃ নুর আলী মোড়লের পুত্র মোঃ হযরত আলী মোড়ল (৩৫) গুরুতর আহত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল এবং রাস্তা ফাঁকা থাকায় দ্রুত গতিতে বাড়িতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে অত্র এলাকায় বজ্রপাত সহ ঝড় বৃষ্টি হতে থাকে এ সময় ইঞ্জিন ভ্যানচালক মনিরুল ইসলাম নূরনগর থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় পথিমধ্যে তার বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভ্যানে বসে থাকা যাত্রী হযরত আলী মোড়ল গুরুতর আহত হয়। ঝড় বৃষ্টি অবস্থায় রাস্তায় কোন মানুষ না থাকায় দীর্ঘক্ষন তারা ঘটনাস্থলে পড়ে থাকে একপর্যায়ে পাশের বাড়ির এক মহিলা দেখতে পেয়ে লোকজন ডাকাডাকি করে এবং মূমুর্ষ অবস্থায় দুজনকে প্রথমে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার মনিরুল এর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্বজনরা মনিরুলকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে সখিপুর এলাকায় মনিরুল মৃত্যুবরণ করে বলে পরিবারের সদস্যরা জানায়। দুর্ঘটনার এ খবর শ্যামনগর থানায় পৌঁছালে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর নির্দেশনায় নূরনগর ইউনিয়ন বিট অফিসার এস আই আহাদুজ্জামান এবং এএসআই কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন ও দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে মৃত্যুর জন্য কোন প্রকার অভিযোগ না থাকায় নিহতের পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করেন। গতকাল মঙ্গলবার জোহর নামাজ বাদ কাটাখালি জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে জানাজা নামাজ শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মনিরুলের অকাল মৃত্যুতে অত্র এলাকায় শোকের ছায়া বিরাজ করছে।