আশাশুনি, প্রতাপনগর প্রতিনিধিঃ বেড়িবাঁধের বালুভর্তি জিও বস্তায় ফাটল ! জোয়ার ভাটার তুফানের আঘাতে আঘাতে নদীগর্ভে যাচ্ছে জিও বস্তার বালু। হুমকির মুখে চোরা বালুর বেড়িবাঁধ। উদ্বিগ্ন ও আতংকিত এলাকাবাসী। এ যেন দেখার কেউ নেই। এটি শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা গ্রামের খোলপেটুয়া নদীর বন্যতলা ক্লোজার পয়েন্টের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের দ্রশ্যমান অবস্থা চিত্র। শ্যামনগর পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা ও আশাশুনির প্রতাপনগর সিমানায় খোলপেটুয়া নদীর মোহনার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধটি ২০ মে ২০২০ ঘুর্নিঝড় আম্ফান ও ২৬ মে ২০২১ ঘুর্নিঝড় ইয়াসে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বন্যতলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিস্তির্ণ এলাকাটি প্রায় দুই বছর ধরে নদীর জোয়ার ভাটায় নিমজ্জিত ছিল। তৎকালীন সময়ে এখানের মানুষের সিমাহীন দুর্দশা দুর্ভোগের শেষ ছিল না। অতঃপর সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে ঠিকাদারের মাধ্যমে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ২০২১ সালে ২৭ নভেম্বর বন্যতলার ভাঙ্গন ক্লোজার পয়েন্টে আটকাতে সক্ষম হয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ক্লোজার পয়েন্টের বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজটি হস্তান্তর করতে পারেননি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কতৃপক্ষ। এদিকে আম্ফান ও ইয়াস ট্রাজেডির প্রভাবে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটায় লোকালয়ে সৃষ্টি হওয়া খালের পানি প্রতিনিয়ত উল্লেখিত ক্লোজার পয়েন্টের ভিতর দিয়ে নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য দিকে ৫০/৬০ ফুটের বালুভর্তি জিও বস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে হঠাৎই লোকচক্ষুর আড়ালে চোরা বালুর বাঁধ ভেঙ্গে বন্যতলা ও প্রতাপনগরের বিস্তির্ণ এলাকা খোলপেটুয়া নদীর জোয়ার ভাটায় প্লাবিত হয়ে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন গণ্যমান্য ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এছাড়াও এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার শংকা থাকে উপকূলীয় এ অঞ্চলের জন্য। এহেন পরিস্থিতিতে সময় থাকতে জরুরী ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও বস্তা রক্ষা সহ ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী।