দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফায় চুড়ান্ত পর্যায়ের হামলা শুরু করেছে। ঐতিহ্য আর সমৃদ্ধে ভরপুর রাফা শহরের অধিবাসিরা মৃত্যু আতঙ্কে দিন যাপন করছে এবং শহরের অধিকাংশ অধিবাসি প্রান রক্ষা করতে শহর ত্যাগ করছে। শহরটিতে একদিকে দখলদার বাহিনী বিমান হামলা চালাচ্ছে অন্যদিকে স্থল অভিযানের মাধ্যমে গ্রেফতার ও লূটপাট চালাচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ গুলো নিজেদের দখলে নিয়ে নির্বিচারে প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ গুলো নিজেদের দখলে নিয়ে নির্বিচারে গুলি বর্ষনের মাধ্যমে হত্যা কান্ড পরিচালনা করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পক্ষ হতে বারবার বলা হচ্ছে রাফায় যেন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা না হয় কিন্তু বাস্তবতা হলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা শেষ পর্যন্ত রাফা শহরে গণহত্যা পরিচালনা শুরু করেছে। এদিকে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে কোন অবস্থাতেই ইসরাইলকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইসরাইলের প্রতিটি দখলদারিত্ব আর হত্যাকান্ডের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে। হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে দীর্ঘ আলোচনা শেষে ইসরাইলের সাথে হামাসের যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে তা অবশ্যই ইসরাইলকে মানতে ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসরাইলি যদি এই চুক্তি বাস্তবায়ন না করে গণহত্যা পরিচালনা করে তাহলে অবশ্যই ইসরাইলকে কোন ভাবেই ছেড়ে দেওয়া হবে না। এদিকে সাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জনাচ্ছে রাত ব্যাপী রাফা শহরে বিমান হামলা চালিয়ে একই পরিবারের সাত সদস্যকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনী ওখানেই শেষ নয় মিশর সীমান্ত সংলগ্ন গাজায় প্রবেশের সব কয়টি সড়ক পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা যে কারনে রাফা সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ত্রানবাহী কোন যানবাহন যেমন ঢুকতে পারছে না ঃ অনুরুপ ভাবে আহত ও অসুস্থ রাফা বাসি চিকিৎসা গ্রহনের জন্য মিশর বা অন্য কোন এলাকাতে প্রবেশ করতে পারছে না। রাফায় বিমান হামলা, গণহত্যা ও সামরিক অভিযান পরিচালনা করার কারন হেতু উপত্যকাটিতে মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে, ইসরাইলের সাথে রাফা সংলগ্ন মিশরের রাফা শহরের অধিবাসিদের মাঝে ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মিশরের সাথে এ নিয়ে ইসরাইলের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে মিশর ইসরাইলকে চরম পত্র দিয়েছে এবং জানান দিয়েছ যে রাফায় যদি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকে এবং রাফাতে যেন অবিলম্বে গণহত্যা ও সামরিক অভিযান বন্ধ হয় আর এর বত্যয় ঘটলে অবশ্যই মিশরকে চরমমূল্য ও খেসারাত দিতে হবে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর হামাসের প্রতিরোধ হামলা ও চলছে। পশ্চিমা মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে রাফা শহরের একাধিক এলাকাতে হামাস যোদ্ধাদের সাথে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের মুখোমুখি হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে আবারও খান ইউনিসের আল সিফা হাসপাতালে আবারও গণকবরের সন্ধান পেয়েছে উদ্ধার কারিরা। এবারের গণকবরে অন্তত উনপঞ্চাশ জন অন্তত ফিলিস্তিনির লাশ সনাক্ত করেছে উদ্ধার কর্মিরা। হামাসের অবিচল এবং দৃঢ়তার কারনে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় স্থল হামলা পরিচালনা বিভিন্ন মুখি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। হামাস প্রধান ইসরাইল হানিয়া দ্বিতীয় বারের ন্যায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়েফ এরাদোগানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। রাফা শহরের অধিবাসিরা মৃত্যু আতঙ্কের পাশাপাশি তীব্র খাদ্য সংকটের মুখে অবস্থান করছে। এদিকে ইরান ইসরাইলের হামলার বিস্তারিত বিবরন দিয়েছে। গাজা অভূক্ত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বাড়ছেই। সাগরে আবারও ইসরাইলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুযি যোদ্ধারা।