শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির সঙ্গে সাইবার অপরাধ বাড়ছে ॥ আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

ঢাকা ব্যুরো ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে, সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা ও ঝুঁকি ততই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি জানান, ঝুঁকি মোকাবেলায় আইন প্রণয়নসহ তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটার বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন অথবা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিলো না। তাই সাইবার ঝুঁকিও কম ছিলো। যত দ্রুত আমরা ডিজিটাইজেশন করেছি, তত বেশী তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। ফলে আমরা ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম। এরপর প্রয়োজনের তাগিদে নতুন আইন ‘সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যমান আইনের আলোকে আমরা চারটি মুল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমতঃ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেইখান থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয়তঃ ফরেন্সিক ল্যাবেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে ও অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ যাচাই-বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাইবার রেসপন্স টিম, কাউন্টার টেরোরিজম এবং ইনটেলিজেন্স এজেন্সিসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। ইতোমধ্যে আমরা ২৩ হাজার এই ধরণের জয়ার সাইট, পর্ণ গ্রাফি সাইট, এই ধরণের অপরাধমুলক কার্যক্রমে যে প্লাটফর্মগুলো যুক্ত ছিলো সেগুলোকে আমরা ব্লক করেছি। বেশ কয়েকটি টিম নিয়মিত কাজ করছে, ফলে আমরা অনেক অপরাধ প্রতিরোধ করতে পারছি। কিন্তু এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া, এটা চলমান থাকবে। আমাদের ৩৩৩ একটা কল স্টোর আছে সেখানে আমরা দেশবাসীকে অনুরোধ করবো তারা যেনো ফোন করে তাদের কোনো তথ্য উপাত্ত প্রয়োজন হলে বা কোনো উপদেশের প্রয়োজন হলে বা অভিযোগ জানাতে হলে তারা করতে পারেন। ৯৯৯ আছে এখানে পুলিশকে তারা অভিযোগ জানাতে পারেন। আওয়ামী লীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ-এর অভিমুখে এগিয়ে চলেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ-এর সকল কিছুই হবে স্মার্টভাবে। সকল ধরনের কানেক্টটিভিটি তার থাকবে ভূগর্ভস্থ। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আমরা এই কার্যক্রম শুরুও করেছি। ঢাকার নানান স্থানসহ বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুতের তার ভূগর্ভে স্থাপন করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি সংযোগের তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে। দেশে টিএন্ডটির লাইনসমূহ শুধুমাত্র গ্রাহক পর্যায়ে কারিগরি কারণে মাটির উপর দিয়ে টানা হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে টিএন্ডটি’র তার ভূগর্ভস্থ করা হয়েছে। যেমন, এক্সচেঞ্জ থেকে কেবিনেট পর্যন্ত লাইনসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা হয়েছে। তবে ভবনে ফাইবার ক্যাবলের চ্যানেল ইন্টারনেটসহ সকল সার্ভিস লাইনের জন্য একক ডাক্ট এর ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশেও উন্নত দেশের মত টিএন্ডটিসহ সকল ধরনের কানেক্টটিভিটি সংযোগসমূহ মাটির নিচ দিয়ে টানা সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com