দেবহাটা অফিস ॥ কৃষি ব্যাংক কৃষকের ব্যাংক, গ্রামীন জনপদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রান্তীক জনগোষ্ঠীর ব্যাংক আর ব্যাংকটির এমনই কলেবর এবং ঋন বিতরনে গ্রামীন ক্ষুদ্রকৃষকের অথচ সম্ভাবনাময় পান চাষী অন্তভূক্ত হলো। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী পান সুপারীর উপর বিশেষভাবে আকৃষ্ট। পান চাষীদের উদ্বুদ্ধ ও পান চাষে ঋন বিতরনে লাভজনক এই চাষ অনেক উচ্চতায় পৌছাতে পারে। আর তাই নতুন মেরুনকরন, নব চেষ্টা বলা যায় পান চাষ ঋন উদ্ভাবনী সৃজনশীলতায় বহিঃপ্রকাশ। আর পান চাষে ঋন বিতরনের দৃশ্যপটে সখিপুর কৃষি ব্যাংক পানচাষী এবং ঋন গ্রহীতা সখিপুর ইউনিয়নের আখতার উদ্দীনের পুত্র মুছা করিম একবিঘা জমিতে পান চাষের জন্য ঋন গ্রহন করেছেন। অর্থকরী ফসল হিসেবে পানের পরিচিতির শেষনেই।কিন্তু আর্থিক কারনে পান চাষের খরচ কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না। অত্যন্ত ব্যয় বহুলআবার লাভজনক এই চাষে পানবরজ, পরিচর্যা সহগ শ্রমিক মজুরীতে বিনিয়োগতার পর উৎপাদন এবং লাভ। পান চাষী মুছা করিম দৃষ্টিপাতকে জানান পান চাষে ব্যাপক খরচ স্থানীয় পর্যায়ে এনজিও বা মহাজনের থেকে ঋন নিলে তার বোঝা অনেক বেশী এই কৃষি ব্যাংক সখিপুর ম্যানেজার সাহেবের বরাবর ঋন পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি সহ অন্য অফিসাররা একাধিকবার আমার পান বরজ(বাগান) পরিদর্শন করে ঋন প্রদানে সঙ্গত হন এবং দুই লক্ষ টাকা ঋন মঞ্জুর করেন উক্ত টাকা দিয়ে তিনি চাষাবাদ করছেন। এবিষয়ে সখিপুর কৃষি ব্যাংক ম্যানেজার আঃ সবুর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি দৃষ্টপাতকে জানান গ্রামীন অর্থনীতিকে এবং গ্রামীন চাষীদের উন্নয়নে,চাষাবাদের ক্ষেত্র বিস্তৃত করনে কষি ব্যাংক সর্বদা নিয়োজিত। তিনি আরও বলেন পান চাষ ব্যতিক্রম ধর্মী এবং লাভজনক চাষ। ইতিমধ্যে উক্তচাষী নিজের মুলধনের মাধ্যমে চাষকে অনেকদুর এগিয়ে নিয়েছৈন, আমরা চাষাবাদে উৎসাহিত করতে এবং সব ধরনের জামানত ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই সৃষ্টিশীল পান চাষে ঋন বিতরন করেছি। এদিকে মুছা করিমের দেখা দেখি দেবহাটার সখিপুর এলাকার অনেকে পান চাষে এগিয়ে আসছে। লাভজনক পান চাষে মুছা করিমের ন্যায় সামান্য সুদে কোন প্রকার খরচ ব্যতিত ঋন পেলে এ অঞ্চলে অধিকতর পান চাষ বিস্তৃত হবে এমনটি মনে করছেন পান চাষীরা।