এফএনএস: দুটি হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার খুলনার পৃথক দুটি আদালতে বিচার শেষে এই রায় দেওয়া হয়। একটি মামলায় যশোরের অভয়নগরে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র নুরুজ্জামান বাবু হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মো. রাজ্জাক পাটোয়ারীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. মাজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হচ্ছে, ২০২০ সালের ১ জুন রাতে কলেজছাত্র নুরুজ্জামান বাবুকে তার বাড়ির পাশের আমবাগানে ডেকে অচেতন করে আসামিরা। এরপর চোখ বেঁধে তাকে অভয়নগরের পুড়াখালী গ্রামের সরকারি বাওড়ের পাশে নিয়ে দড়ি দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে তার লাশ বাওড়ের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার পরের দিন ২ জুন বাবুর মোবাইল ফোন থেকে তার বাবাকে কল করে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ২ জুন অভয়নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর পুলিশ রাজ্জাক পাটোয়ারীকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৪ জুন বাবুর লাশ বাওড়ের কচুরিপানা থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৪ জুন অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে গতকাল বুধবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিয়ার রহমান আসামি রাজ্জাক পাটোয়ারীকে এ দণ্ড দেন। এদিকে, আরেক মামলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে নুরুন্নবী শেখ নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক আবদুস সালাম খান এ আদেশ দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ জানান, যৌতুকের দাবিতে ২০১১ সালে ২৫ আগস্ট রাতে খুলনা মহানগরীর বেলায়েত হোসেন সড়কের বাসভবনে আসামি নুরুন্নবী তার স্ত্রী জোহরা খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ এবং তার শিশুপুত্রকে ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে ২৭ আগস্ট খুলনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ১৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।