ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০৫ (সংশোধনী-২০১৩) বাস্তবায়নে গঠিত বিভাগীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভা মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ ফিরোজ শাহ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে সিগারেট বিক্রয় বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিগারেট বা অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য প্রাপ্তি যাতে সহজলভ্য না হয় সে ব্যাপারে সকলের কাজ করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধ করতে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে শিশু-কিশোরদের রক্ষাকরা বর্তমানে মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুদেরকে খেলাধুলা ও নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ৩১ মে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিশ^ তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হবে। দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি। সভায় কেএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোঃ তাজুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপপরিচালক ডাঃ ফেরদৌসী আক্তার, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।-তথ্য বিবরণী