বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জয়নগরে মন্দির ভিত্তিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সাথে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় শ্যামনগরে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির কর্মি টি এস অনুষ্ঠিত তালায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় বিজয় দিবসে সদর উপজেলা বিএনপির র্যালি কলারোয়ায় টালি মালিক সমিতির নব—কমিটি গঠন সভাপতি গোষ্ট পাল ও সাধারণ সম্পাদক তুহিন সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও আশাশুনি থানার বিজয় দিবস প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নুসরাতের নৃশংস হত্যাকারী জনির ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন আশাশুনি আশার উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হামাসের

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪

দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে। গাজার পথে পথে, যুদ্ধ ক্ষেত্রে, ইসরাইলি সেনাদের অবস্থানে হামাস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে দখলদার সেনাদের হতাহত করছে। হত্যা করে চলেছে তাদের সামরিক খানকে ধ্বংস সাধন করছে। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজায় অবস্থানরত দখলদার বাহিনীর উপর হামলা পরিচালনা করছে না এবং তাদেরকে হত্যা করছে না। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করলেও তারা যে স্বস্তিতে ও নিরাপদে নেইতা প্রতিদিন তাদের হত্যাকান্ডের খবরই প্রমান দিচ্ছে। গাজার প্রতিজন ফিলিস্তিনি একেক জন হামাস যোদ্ধা। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া সকল যোদ্ধাদেরকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হামলা পরিচালনার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার আহবান জানানোর পর থেকে গাজার হামাস যোদ্ধারা বীর বিক্রমে নতুন শক্তি সঞ্চয় করে যুদ্ধ করে চলেছে। দখলদার যোদ্ধারা কোন কোন সময়ে হামাসের পাতাফাঁদে পা দিয়ে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। অতি সম্প্রতি চলতি সপ্তাহে রাফা শহরে দখলদার সেনাদের একটি দলকে হামাস যোদ্ধারা বিভ্রান্ত করে পাঁতা ফাঁদে ফেলে অন্ততঃ পনের জন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করে,উক্ত পাতাফাঁদে পনের জনের অধিক সেনা মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অন্তত পাঁচ হাজার সেনাকে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা/ অবশ্য দখলদার, ইসরাইলের পক্ষ হতে বারবার তা অস্বীকার করা হয়েছে। গাজায় বর্তমান সময় গুলোতে দখলদার বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধ অপেক্ষা গেরিলা যুদ্ধে অবতীর্ণ হচ্ছে আর গেরিলাযুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা অধিকতর সাফল্য পাচ্ছে। এদিকে আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল আবারও হামাসের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে। উল্লেখ্য গত পক্ষকাল পুর্বে আলোচনা ভেস্তে যায় এবং আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে হামাস কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় আলোচনা অনেকদুর অগ্রগতি হয়। হামাসের দাবী ছিল স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি এবং গাজা উপত্যকা হতে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা কিন্তু দখলদার ইসরাইল উক্ত শর্ত মানতে নারাজ হলে আলোচনা ভেস্তে যায়। অতি সম্প্রতি হামাসের হাতে বন্দী পাঁচ ইসরাইলি সেনার ভিডিও প্রকাশ করার পর থেকে পুরো ইসরাইল ব্যাপী ব্যাপক যুদ্ধ শুরু হলে বাধ্য হয়ে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভা হামাসের সাথে পুনরায় যুদ্ধ বিরতি আলোচনার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এদিকে বিশ্বের জাতিসংঘের সদস্যভূক্ত ১৪৩টি দেশ ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যে কারনে ফিলিস্তিন যে জাতি সংগের অন্যতম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য বিশ্বের ১৪৩টি দেশ জাতিসংঘের যারা সদস্য তারা যখন ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে তখন সহজেই অনুমেয় বিশ্বের শত শত কোটি মানুষ ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা দাবীকে সমর্থন করে। দখলদার নাগরিক ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি বিশ্বময় হতে দিনে দিনে বন্ধুহীন হয়ে পড়ছে। হামাস যোদ্ধারা ইউরোপের দেশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে। সর্বশেষ স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় হামাসের পক্ষ হতে উল্লেখিত দেশ সহ ইউরোপের অপরাপর স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে। এদিকে ইরানের নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসির জানাজায় লাখ লাখ লোকের সমাগম হয়েছে। ইরানের রাজধানী তেহরান বিশ্ব বিদ্যালয় চত্বরে উক্ত জানাযায় অংশ নেন ফিলিস্তিন মুক্তি সংগ্রামের হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়া সহ অপরাপর নেতৃবৃন্দ। জানাজা শেষে হামাস নেতৃবৃন্দ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লাহ আল খোমেনীর সাথে স্বাক্ষাত করেন এ সময় খোমেনী বলেন অবশ্যই ফিলিস্তিনিদেরকে রক্ষা করতে হবে। এদিকে মিশর সীমান্তসংলগ্ন রাফা শহরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রতিনিয়ত হামলা পরিচালনা করছে। প্রতিদিনই হত্যাকান্ডের মিছিলের লাইন দীর্ঘ হতে দীর্ঘতর হচ্ছে। শহরটির চারদিকে দখলদার বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। গাজা ইতিহাসের অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। উপত্যকাটিতে খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই, ঔষধ নেই,সুপেয় পানি নেই। জাতিসংঘ ঘোষণা দিয়েছে গাজার বর্তমান অবস্থা বিরাজ করতে থাকলে উপত্যকাটি জনমানব শুন্য হয়ে পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com