আবু ইদ্রিস শ্যামনগর থেকে ॥ আজকের ঘটে যাওয়া ঘটনা আগামী দিনের ইতিহাস। হোক সেটা ইতিবাচক বা নেতিবাচক। ইতিবাচক ঘটনাগুলো মানব জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানব জীবনে চলার পথের পথেয় অথবা বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়। দৈনিক দৃষ্টিপাত জন্য লগ্ন থেকে ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়ে দৈনিক দৃষ্টিপাত সত্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে পরিচিত পেয়েছে প্রিয় পাঠক মহলে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ দৃষ্টিপাতের প্রতিদিনকার চলার অদম্য প্রাণশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পত্রিকাটি সাতক্ষীরা জেলার গণমানুষের প্রিয় পত্রিকা তার প্রমাণ শত, সহস্র পাঠক রাই। এ পত্রিকার প্রিয় এক পাঠকের সাথে হঠাৎ সাক্ষাৎ হয় দৈনিক দৃষ্টিপাতের কয়েকজন সাংবাদিকের। সাক্ষাৎকারে সম্মানিত পাঠকের অশ্র“সিক্ত আবেগঘন মুহূর্ত ও আনন্দের স্মৃতিচারণের সংমিশ্রণে অনন্য সাক্ষাৎকারে রূপ নেয় সাক্ষাৎকারটি। ২০০৯ সালের বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রকাশিত সংবাদপত্রটিতে কালিগঞ্জ উপজেলার শোতা গ্রামের মৃত সুধান্য মন্ডলের পুত্র বর্তমানে বয়ো বৃদ্ধ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নির্মল মন্ডলের কাছ থেকে ৫০০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা ছিনতাই হওয়ার ঘটনাটি সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে তৎকালীন কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকার ফলে ছিনতাই হওয়ার সমুদয় টাকা ফেরত পান এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ঐ দিনের প্রকাশিত সংবাদপত্র টি দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি নিজে সযত্নে সংরক্ষণ করে রেখেছেন। তিনি মূলত একজন শাকসবজির বীজ বিক্রেতা। তার এই বীজের দোকানে গেলে গল্পচারিতার মাঝে পুরানো স্মৃতি, দৈনিক দৃষ্টিপাতের ইউনিয়ন প্রতিনিধি আব্দুল মাজিদ একজন নিষ্ঠাবান সৎ সাংবাদিক হিসেবে প্রশংসা করেন। এসময় তিনি আরো বলেন সাতক্ষীরা জেলার সাংবাদিক জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি সৎ সাংবাদিকতার প্রতিচ্ছবি দৃষ্টিপাতের সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে স্বনামধন্য মানুষ। এমন ভুয়োষি প্রশংসা সত্যিকার অর্থে একজন সম্পাদক হিসেবে জীবনে এর চেয়ে সফল চাওয়া পাওয়া আর কি হতে পারে। আপনি দৃষ্টিপাতকে কতটুকু ভালবাসেন এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি নিজেকে যতটুকু ভালবাসি তার সমান হতে পারে।