শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরায় খিরা চাষে বিপ্লব ঘটেছে ঃ বেড়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্ব চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

দৃষ্টিপাত রিপোর্ট ॥ সকাল হতে না হতেই খিরা তুলছে চাষীরা এই কাজে শুধু মাত্র পুরুষ সদস্যরা নয় মাহিলারাও খিরা তুলতে অতি ব্যস্তসময় অতিক্রম করছে। দুই এক ঘন্টার মধ্যে খিরার স্তুপ,কেউ ড্রামের পানি দিয়ে খিরা ধৌত করে পরিস্কার করছে আবার কেউবা বস্তাভর্তি করার কাজে থাকছে, আবার ক্ষেতে আসা পাইকারদের ওজন করার সময় পার করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে কৃষক ক্ষেত থেকে পাইকারদের কাছে বিক্রি না করে সরাসরি বাজার জাতকরনে ব্যস্তসময় পার করছে। এইদৃশ্য সাতক্ষীরার বিভিন্ন খিরা ক্ষেত ও তৎসংলগ্ন এলাকার। একদা সাতক্ষীরায় খিরা চাষহতো না, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়ার উৎপাদিত খিরা সাতক্ষীরার চাহিদা মেটালেও সময়েল ব্যবধানে এবং বাস্তবতার নিরিখে সাতক্ষীরায় ব্যঅপক ভিত্তিক খিরা চাষ হচ্ছে। বলা যায় এই জেলায় খিরার বাম্পার ফলন সাম্প্রতিক বছর গুলোতে খিরা চাষে চাষীদেরকে উদ্বুদ্ধ করছে। সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমান খিরা উৎপাদন হচ্ছে এবং জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ অন্যঅন্য জেলার চাহিদা পুরন করছে। অত্যন্ত লাভজনক চাষ হওয়ায় কৃষকদের খিরা চাষে দিনে দিনে আগ্রহের ক্ষেত্র বিস্তৃত করে চলেছে। জেলার পাটকেলঘাটা, কলারোয়া দেবহাটার কামটা, মাটি কোমরা, কালিগঞ্জের বেলেডাঙ্গা খিরা চাষের বিপ্লব ঘটেছে। বছরে দুই থেকে তিনবার একই জমিতে খিরা চাষ সম্ভব। বীজ বপনের চল্লিশ দিনের মধ্যে খিরা বিক্রি বা বাজারজাত করা সম্ভব বলে জানান চাষীরা। এক বিঘা জমিতে খিরা চাষে অন্তত ষাট/সত্তর হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব এমনটি জানান কৃষকরা,খিরা চাষের পরিচর্যায় সময় ক্ষেপন হলেও ব্যয় বহুল চাষ নয়। কামটা এলাকার কৃষক একরামুল কবির জানান প্রথমে জমিতে চাষ দিয়ে আড়াই হাত অন্তর বীজতলা তৈরী পরবর্তি মিশ্র সার প্রয়োগ করার পর সপ্তাহ ব্যবধানে বীজ তলায় পাঁচ/সাতটা বীজ রোপন করার পর খিরা গাছ জন্মালে আবরও মিশ্র সার প্রয়োগ ঘটাতেহয়। এরপর চারফুট উচ্চতায় বাঁশ ও সুতার জাল দিয়ে মাচা তৈরী এবং উক্তমাচাৎয় খিরা গাছ তরতরকরে উঠে। পর্যায়ক্রমে খিরা গাছ ফুল ও ফল আসে ত্রিশ দিনের পর থেকে বাজার জাতকরনের উপযুক্ত হয় পয়তাল্লিশ দিন পর থেকে বেশী বেশী ফল আসা শুরু করে। খিরর অর্থনৈতিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা জানান বর্তমানে বাজারে কেজি প্রতি ত্রিশ/পয়ত্রিশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খেরা। মৌসুমের শুরুতে কেজি প্রতিখিরাই এরমুল্য ছিল সত্তরথেকে আশি টাকায়। শেষ হওয়া রোজার মাসে খিরাই কেজি প্রতি একশত টাকার উর্ধে বিক্রি হয়েছে। বর্তমান সময়ে উন্নত বীজ,সার এবং আধুনিক পদ্ধতির চাষাবাদের কল্যানে খিরাই উৎপাদন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিলান জমির পাশাপাশি সাতক্ষীরার হাজার হাজার চিংড়ী ঘেরের ভেড়িবাঁধে খিরা চাষহচ্ছে, ঘের ব্যবসায়ীরা চিংড়ী চাষের পাশাপাশি খিরা চাষেও লাভবান হচ্ছে। খিরা চাষের কারনে বহু সংখ্যক মানুষ অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com