দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যাকায় হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা একদিকে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখিন হচ্ছে অন্যদিকে প্রতিনিয়ত দখলদার বাহিনীকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করছে। ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক বহর, ট্রাঙ্ক বহর এবং সেনা অবস্থানের উপর প্রকাশ্য ও গোপন হামলা চালিয়ে গাজা যুদ্ধ দখলদার ইসরাইলি সেনাদেরকে বিপন্ন ও বিপর্যস্থ করে তুলছে। অতি সম্প্রতি হামাস যোদ্ধারা জাবালিয়া যুদ্ধ কেষত্রে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদেরকে ফাঁদে ফেলে হত্যা করে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদেরকে ফাঁদেফেলে হামাস হত্যা করলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দখলদার সেনাকে আটক করার ঘটনা ঘটলেও ইসরাইলের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনাকে মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করলেও গতকাল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে হামাসের হামলায় তাদের দুই সেনা সদস্যকে হত্যার বিষয়টি স্বকিার করেছে। উক্ত ঘোষনায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েল পক্ষ হতে আরও বলা হয়েছে সর্বশেস হত্যাকান্ডের শিকার দুই সেনা সদস্য সহ ছয় শতাধীক সেনা নিহত হয়েছে। অবশ্য হামাসের পক্ষ হতে বারবার বলা হয়েছে যে হামাসের শস্ত্র শাখা আল কামে ব্রিগেডের সদস্যদের প্রতিরোধ হামলায় এ যাবৎ পর্যন্ত পাঁচ হাজারের অধিকদখলদার সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসরাইলের অধিক দখলদার সেনার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ইসরাইলের পক্ষ থেকে দুই সেনার নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করা হলেও আটক ও আহত সেনাদের বিষয়ে কিছু বলা হইনি। এদিকে গতকাল কাতার ভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে হামাস যোদ্ধারা উত্তর মধ্য ও পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সামরিক খান ভহর ও ট্রাঙ্ক বহরে হামলা চালিয়েছে। খান ইউনিস ও তার আশপামের এলাকাগুলোতে গত কয়েকদিন যাবৎ দখলদার বাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে উল্লেখিত এলাকার অন্ততঃ শতাধীক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্যান্যবারের ন্যায় এবারও নারী ও শিশুদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। হামাস নিয়ন্ত্রীত গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গাজা উপত্যকায় চিকিৎসা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে এ কারনে ফিলিস্তিনির চিকিৎসা সেবা হতে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে অনুরুপ ভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে। গাজার ঐতিহ্যবাহী শহর রাফা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্ব নেতৃত্ব বারবার দাবী ও নিষেধ করেছিলো যে কোন অবস্থাতেই যেন রাফা অভিযান পরিচালনা করা না হয় কিন্তু ইসরাইলি বাহনিী বিশ্ব নেতৃত্বের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে রাফায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং উক্ত অভিযানে বিমান বহরের সংযোগের পাশাপাশি স্থল াভিযানে তাদের মর্যাদার প্রতিক মারকাভা ট্রাঙ্ক রে অন্তভূক্ত ঘটায়। শিরের সাথে ইসরাইলের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধে উভয়ের শুভাকাঙ্খি হিসেবে মিশরে মধ্যস্থতায় অবতীর্ণ হয়। মিশরের পক্ষ থেকে ও ইসরাইলকে রাফা অভিযান বন্ধের আহবান জানানো হলেও ইসরাইলি মিশরের আহবান প্রত্যাখান করলে মিশরের সাথে ইসরাইলের চরমবৈরী ও বিরোধময় সম্পর্কের অবতরনা ঘটে। আল জাজিরা টেলিভশনের পক্ষ হতে বলা হয়েছে অতীতে বা নীকট অতীতে মিশরের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের যে অবনতি ঘটেচে তা আগামী দিনগুলোতে মিশরের ওইসরাইলের মধ্যে যে কোন ধরনের সংঘাতময় কর্মযজ্ঞের ঘটনা ঘটতে পারে। ইতিমধ্যে মিশর ইসরালিকে রাফা ক্রামি বন্ধের বিষয়ে উদ্বেগ এবং হুমকি প্রদান করেছে। এদিকে রাফা অফিস বন্ধ করায় ইসরাইল রাফার অধিবাসীদেরকে যথাযথ ত্রান সামগ্রী প্রেরণ করতে পারছেনা। বিশ্ব আদালত তথা আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ ও আদেশ ইসরাইল প্রত্যাখান করায় জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইরানের পক্ষ হতে বলা হয়েছে অতীতের ন্যায়আগামী দিন গুলোতেও ইরানের পক্ষ হতে ফিলিস্তিনিদের কে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া আবারও তুরস্কোর প্রেসিডেন্ট তাইয়েফ এরদোগানের সাথে বৈঠক করতে তুরস্কে অবস্থানকরছে। গাজায় ইসরাইলি সেনাদের হত্যা ও আটকের ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে ইসরাইলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাজধানী তেল আবিবে ইসরাইলিরা বিশেষ প্রদর্শন করেছে। এদিকে দখলার হামরঅয় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ছত্রিশ হাজার ছাড়িয়েছে। হিজবুল্লাহ ও হুতিদের ইসরাইলি মুখি হামলা থেমে নেই, চলছেই।