বাংলাদেশ অতীতে, নিকট অতীতে বহুবার প্রকৃতির নিষ্ঠুরতায় বিপন্ন হয়েছে। জনজীনে নেমে এসেছে ব্যাপক ক্ষতি। অতীত আর নিকট অতীতের ন্যায় গত রবিবার দেশের উপকুলীয় এলাকা দিয়ে প্রবাহীত হয়েছে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় রিমেল। জনবসতি, চিংড়ী ঘের, মৎস্যঘের, সড়ক, ফসল বহুবিধ ক্ষতির মুখে পড়েছে উপকুল। সর্বাপেক্ষা ক্ষতির শিকারে পরিনত হয়েছে আমাদের প্রিয় সুন্দর বন। এই দেশের মানুষেরা বহুযুগ পূর্ব হতে নানান ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ দুর্বিপাকের কবলে পড়ে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশের উপকুলীয় জনপদকে বারবার প্রতিনিয়ত রক্ষা করে চলেছে আমাদের সুন্দরবন এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত চিংড়ী শিল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শত শত চিংড়ী ঘেরের চিংড়ী জ্বলোচ্ছ্বাসের কল্যানে ভেসে গেছে। চিংড়ী ঘেরের ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে নদীর সাথে একাকার হয়েছে। সাতক্ষীরা উপকুলীয় নদ নদীগুলোর ভেড়িবাঁধের কোন কোন এলাকা ভেঙ্গে তথা ঢসে পড়েছে আবার কোন কোন এলাকায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। নদ নদী গুলোর ভেঁড়িবাধ স্থায়ী ভাবে টেকসই না করায়, ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় নতজানু থেকেই গেছে। খোলপেটুয়া, কালিন্দী, ইছামতি, কপোতাক্ষ নদ নদীর ভেড়িবাঁধ অতি দ্রুততার সাথে টেকসই পর্যায়ে সম্পন্ন করতে হবে। প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা আমাদের উপকুলীয় এলাকার জনপদকে যেহেতু বারবার বিপন্ন বিপর্যস্থ করে তুলছে তাই সর্বাপেক্ষা প্রয়োজন টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান। রবিবারের ঘূণিঝড়ে কেবল মাত্র সুন্দরবনের বা চিংড়ী শিল্পের ক্ষতি হয়েছে তা নয়, এই ঘূর্ণিঝড় আমাদের কৃষি উৎপাদনকেও মারাত্মক ভাবে বিপর্যস্থ করে তুলেছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই জলবায়ূর ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারন হেতু ঘুর্ণিঝড় সহ প্রকৃতির অপরাপর নিষ্ঠুরতার চিত্র প্রকট আকার ধারণ করছে। তারপরও একটি বিষয় তা হলো প্রাকৃতিক দূর্যোগ থাকবে, প্রাকৃতিক দূর্যোগ আসবে বিধায় রোধ করা সম্ভব না হলেও প্রস্তুতি গ্রহণই শেষ কথা।