দৃষ্টিপাত ডেস্ক॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রাফায় গণহত্যার পাশাপাশি সমগ্র গাজায় হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে। হামাস যোদ্ধারা তাদের পরিপূর্ণ শক্তি সমর্থ আর সক্ষমতা কে প্রধান্য দিয়ে অবিরাম যুদ্ধ করে চলেছে। ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা কেবল হামাসকে নির্মূল ও নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে না তারা নির্বিচারে নিরহী ও নিরস্ত্র ফিলিীস্তনিদের হত্যা করে চলেছৈ। হামাস যোদ্ধারা ও কম নয় তারা ও প্রাণপনে যুদ্ধ করেই চলেছে। বারবার দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদেরকে প্রকাশ্যে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি গেরিলাহামলা ও পরিচালনা করে চলেছে। কোন কোন সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদেরকে ফাদে ফেলেও হত্যা করছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর তিন সদস্যকে হত্যা করেছে। চলতি মাসে এই নিয়ে হামাস যোদ্ধারা বিশজনের অধিক দখলদার সেনাকে হত্যা করলো। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার পাশাপাশি এএফপি ও রয়টার্স সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি সেনা বাহিনী তিন সদস্য এবং তারা গাজা যুদ্ধ ক্ষেত্রে যুদ্ধরত স্টাফ সার্জেন্ট আমির গ্যালিলেঅভ স্টাফ সার্জেন্ট উরিবার অর(২১)। স্টাফ সার্জেন্ট ইডো অ্যাপেল ২১ কে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা। নিহততিন সেনার সকলেই ইসরাইলের সেনা বাহিনীর নাহার ব্রিগেডের ৫০ তম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলো। ইসরাইলের সংবাদ পত্র হিব্র“ ভাষায় প্রকাশিত ইসরাইল টাইমস জানিয়েছে একটি বুবি আবদ্ধ বিল্ডিংয়ে বিষ্ফরনে এই তিন সেনার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। একই বিস্ফরনে অন্তত পাঁচ সেনা ও অফিসার মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। হত্যাকান্ডের পরপরই ইসরাইলের বিমান বাহিনীর একাধিক বিমান নিহত ও আহত সেনাদের হাজার আল জাবালিয়া যুদ্ধক্ষেত্র হতে ইসরাইলের ভূখন্ডে নিয়ে যায়। আহতদের সেনা ছাউনি সংলগ্ন হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে। ইসরাইলস টাইমস আও জানিয়েছে গত বুধবার একই দিনে কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পসের ৬১৪তম ব্যাটালিয়নের একদল সেনা উত্তরগাজায় লাইরত অবস্থায় হামাস এর হামলায় তিন কর্মকর্তা ও পাঁচ সেনা সদস্য গুরুত্বর আহত হয়েছে এবং তাদেরকে অতি দ্রুততার সাথে ইসরাইলে আনা হয়। অপর এক খবরে বলা হয়েছে দক্ষিন গাজার একটি বুবি আটকে থাকা টানেলের খাদে বিষ্ফরনের ফলে আরো তিন জন সেনা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। অপর ইউনিট মাল্টি ডোমেন এর তিন সদস্যকেও হামলা চালিয়েছে হামাস সদস্যরা। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর রাফা শহর এ হামলা গণহত্যার বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে সমগ্র বিশ্ব। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে রাফায় হত্যা ও হামলার বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে এবং অবিলম্বে হত্যা ও হামলা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে কিন্তু বাস্তবতা হলো দখলদার বাহিনীর সদস্যরা কোন অবস্থাতেই রাফা হামলা হতে নিজেদেরকে পিছিয়ে আনছে না। আন্তর্জাতিক আদালত ইসরাইল কে তলব করলেও গতকাল পর্যন্ত ইসরাইল আন্তর্জাতিক আদালতের কলবের জবাব দেইনি। রাফা ক্রসিন বন্ধই থাকলো। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যলা গত পনের দিনের অধিক সময় পর্যন্ত রাফা ক্রসিং বন্ধ রাখায় প্রতিবেশী দেশ মিশর হতে কোন ধরনের ত্রান সামগ্রী রাফায় পৌছাছে না যে কারনে পরিস্থিতি এবং বাস্তরাফায় মৃত্য শঙ্কার পাশাপাশি খাদ্য অভাবে মৃত্যু ফিলিস্তিনির সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। এদিকে মিশর এবং ইসরাইলের মধ্যে গাল বিনিময় অব্যাহত আছে যে কোন সময়ে দেশদুটি একে অফরের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। রাফা ও মিশর সড়কের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রন গ্রহন করেছে ইসরাইল সেনারা। গত কয়েকদিন যাবৎ বিমান হামলায় হত্যাকান্ডের পাশাপাশি ইসরাইলি সেনা বাহিনীর পক্ষ হতে মাইকিং করা হচ্ছে ও পোষ্টার বিলি করা হচ্ছে রাফা শহরে কোন ফিলিস্তিনি ঘরের বাইরে বের হলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে। প্রকাশ্যে কার্ফূ চলছে রাফায় একদিকে অবরুদ্ধ জীবন যাপন, ক্ষেতে পারছে না অন্যদিকে বিমান হামলার মাধ্যমে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হচ্ছে রাফা বাসিকে। গতকাল লোহিত সাগরে হুতি যোদ্ধা একসময়ে এবং একই সাথে তিনটি ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা চালিয়েছে। গাজার সর্বত্র ক্ষুধা আর ক্ষুধার এই ক্ষুধায় মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে গাজাবাসি। সর্বশেষ খবরে জানাগেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্রের ব্যবহার ঘটাচ্ছে ইসরাইলি সেনারা, রাফায়।