শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন

পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে কাঁঠালের ফলন ভাল হয়নি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি ॥ বৈরী আবহাওয়ায় পাইকগাছায় কাঁঠালের আশানারূপ ফলন হয়নি। মৌসুম শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় কাঁঠাল বৃদ্ধি কম হওয়ায় আকার ছোট হয়েছে। কাঁঠালের আকার এবড়ো-খেবড়ো ও ছোট হওয়ায় কাঁঠালের কোষ বড় হয়নি। তারপর ঘুর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে কাঠাল ঝরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।ঝড়ে কাঠালের বোটা দুমড়ে- মুছড়ে যাওয়ায় কাঠাল আর বড়ো হবে না। জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে কাঁঠাল পাঁকা শুরু হয়েছে। বর্তমানে কাঁঠালের ভরা মৌসুম চলছে।বাজারে চড়া দামে কাঠাল বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়, উপজেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল গাছ রয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলীতে কাঁঠালের বাগান আছে। তাছাড়া চাঁদখালী ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় কিছু কিছু কাঁঠাল গাছ রয়েছে। এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে কাঁঠাল বাগান গড়ে ওঠেনি। তবে মিশ্র বাগানে কাঁঠাল বাগান রয়েছে। কাঁঠাল কাঁঠের ব্যাপক চাহিদা থাকায় এলাকার বড় বড় গাছ গুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সে ভাবে কোন কাঁঠাল বাগান গড়ে ওঠেনি এবং এলাকায় বড় কোন কাঁঠাল গাছ তেমন একটা চোখে পড়ে না। উপজেলায় প্রায় ৮শ মেট্রিকটন কাঁঠাল উৎপাদন হবে বলে কৃষি অফিস ধারণা করছে। কাঁঠাল সবজি হিসাবেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।একটি কাঁঠাল ৮০ টাকা থেকে ৩শ টাকার অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণ মাস কাঁঠাল পাঁকার উৎকৃষ্ট সময়। তবে জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁঠাল বাজার বেঁচা-কেনা হচ্ছে। কাঁঠাল রসালো ও সু-স্বাদু একটি ফল। কাঁঠাল প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল। শহর ও গ্রাম অঞ্চলের উভয় মানুষের কাছে খুবই পছন্দের। মানুষের সুস্থ্য সবল স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিনের অভাব পূরণে কাঁঠাল খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কাঁঠালের একটি বড়গুণ এর কোন কিছু বাদ যায় না। কাঁঠালের কোষ, খোসা ও বিচি সব কিছুই প্রয়োজনীয়। বিচি উৎকৃষ্টমানের সবজি হিসাবে তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। কাঁঠালের খোসা গরু-ছাগলের প্রিয় খাদ্য। তাছাড়া কাঁঠালের পাতা ছাগল-ভেড়া-গরুর প্রিয় খাবার হিসাবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কাঁঠাল উৎপাদনে কোন খরচ না থাকায় চাষীরা লাভবান বেশি হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এ বছর উপজেলায় কাঁঠালের ফলন ভাল হয়নি। তবে কাঠাল ভালো দামে বিক্রি হয়। ব্যক্তি উদ্যগে কাঁঠাল গাছ লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। কাঁঠাল আবাদে তেমন কোন খরচ হয় না। শুধু বাগান পরিচর্যা করলে চলে। এতে করে কৃষকরা কাঁঠালগাছ থেকে বেশি লাভবান হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com