দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গত কয়েকদিন যাবৎ গাজার বিভিন্ন এলাকাতে ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা সহ অপরাপর হামলা পরিচালনা করছে তবে বাস্তবতা হলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনী যে ভাবে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান পরিচালনা করে হামাস ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে অনুরুপ ভাবে হামাস যোদ্ধাদের হামলাতেও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিনিয়িত হামলার সম্মুখিন হচ্ছে। প্রায় আটমাস যাবৎ দখলদার ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ চলছে তো চলছেই। বারবার যুদ্ধ বিরতির আশার আলো জাগলেও তা আবারও ফিকে হয়ে গেছে। অতি সম্প্রতি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর তথা ইসরাইলের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রস্তাব পেশ করলে বিশ্বর কোটি কোটি মানব সন্তানের মাঝে আশার আলো সঞ্চারিত হয় যে এবার হয়ত নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা মৃত্যু হতে পরিত্রান পাবে। কারন মার্কিন যুক্তরাষ্টের অতি ঘনিষ্ঠ এবং সাহায্যকবারী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবই ইসরাইলের প্রস্তাব কিন্তু বাস্তবতা হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ও একান্ত সহযোগী ইসরাইল প্রত্যাখ্যান করেছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গতকাল ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে প্রধামন্ত্রী নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে ঘোষনায় বলা হয়েছে কোন অবস্থাতেই ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির সার্কেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে সমর্থন করছে না। প্রধানমন্ত্রী নেতা নিয়াহু স্পষ্ট ভাবেই বলেছেন হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই ইসরাইল গাজা যুদ্ধ হতে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব এবং ইসরাইলের না বলার বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন অবস্থাতেই ভালভাবে গ্রহন করেনি। ইসরাইলের শক্তি এবং সামরিক সক্ষমতার অন্যতম উৎস্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথচ ইসরাইল সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মানতে চাইছে না, তাদের প্রস্তাবকে গ্রহন করছে না তাহলে বিষয়টি স্পষ্ট ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি কতটুকু ঐদ্বত্বময় ও হিংস্রতায় পূর্ণ। আল জাজিরা টেলিভিশন আরও জানিয়েছে ইসরাইলের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবকে না বলায় দৃশ্যতঃ গাজা যুদ্ধ থামার পরিবর্তে ব্যঅপক ভাবে গাজা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া মার্কিন প্রস্তাবকে ইসরাইলের পক্ষ হতে নাকচ করায় দৃশ্যতঃ হামাসের সব ধরনের শক্তি,সক্ষমতার ও সামর্থকে এগিয়ে নিতে ইতিমধ্যে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। হামাস যোদ্ধারা গতকালও উত্তর ও মধ্য গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর ব্যাপক ভিত্তিক প্রতিরোধ হামলা পরিচালনা করেছে। এদিকে আলজাবালিয়া আশ্রয় শিবিরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যলা মুহুর মুহুর বিমান হামরা পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বক্তব্য আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবিরকে হামাস সন্ত্রাসীরা সুরক্ষিত দুর্গে পরিনত করেছে আর সে কারনে দখলদার বাহিনী আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবির কে হামলার লক্ষবস্তুতে পরিনত করেছে। উল্লেখ্য সপ্তাহ ব্যাপী দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যলা আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবির কে লক্ষ্য করে যেমন হামলা করছে অনুরুপ উক্ত আশ্রয় শিবিরে অবস্থানরত হামাস সদস্যরা হামলা করছে। পশ্চিমা মিডিয়া ও রয়টার্সের খবরা খবরে বলা হয়েছে গত দুই দিনে আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবির হতে হামাস যোদ্ধারা অন্তত চারশতাধীক বার হামরা চালিয়েছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রনতরিতে হামলা পরিচালনা করেছে হুতি যোদ্ধারা। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে আবারও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশ ও নিষেধাজ্ঞা বারবার প্রত্যাখান করে চলেছে দখলদার ইসরাইল। ইরানের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবারও অবরোধ আরোপ করায় ইরান পাল্টা হুশিয়ারী উচ্চার করে বলেছে ইরান তার সক্ষমতা নিয়েই এগিয়ে যাবে। ইসরাইল ওমিশরের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পরিবর্তে প্রতিনিয়ত সম্পর্কহীনতা সংস্কৃতি চালূ হচ্ছে। গতকালও দেশ দু’টি তাদের স্ব স্ব সীমান্তে গুলি ভর্ষনের পাশাপাশি গোলাগুলি করেছে।