দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ফিলিস্তিনি জাতি স্বত্ত্বাকে নিশ্চিহৃ করা। কারন দখলদার ইসরাইল মনে প্রানে চাইছে বিশ্বের বুকে ফিলিস্তিন নামক ভুখন্ড এবং ফিলিস্তিনি জাতি থাকবে না। দখলদার ইসরাইল সম্পূর্ণ ভাবে শক্তি আর সামরিক সহায়তায় ১৯৪০সালে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব ভ-খন্ড দখলে নিয়ে সেই থেকে ফিলিস্তিনিদের নির্মূল ও নিশ্চিহৃ করনের চেষ্টায়রত। গতকালও দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকার সর্বত্র বিমান হামলা সহ সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। গত চব্বিশ ঘন্টায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। দখলদার বাহিনী এবার গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে বিমান হামলা পরিচালনা করেছে এবং উক্ত হামলায় ৫০ জনের অধিক নিরীহ আশ্রয় গ্রহণ করা ফিলিস্তিনির মৃত্যু ঘটেছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গাজার জাবালিয়া এলাকার স্কুলটি ছিল জাতিসংঘ কর্তৃক পরিচালিত উক্ত বিদ্যালয়ে ইতিপূর্বে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করনে বিদ্যালয়টির পড়ালেখা বন্ধ ঘোষনা করা হয়। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় বসতবাড়ী হারানো বাস্তহারা ফিলিস্তিনিরা উক্তস্কুলে আশ্রয় গ্রহন করে এবং স্কুলটি আশ্রয় শিবির হিসেবে চলছিল। গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আশ্রয় শিবির হিসেবে পরিচালিত জাতিসংঘ কর্তৃক পরিচালিত স্কুলটিতে বিমান হামলা পরিচালনা করে এবং ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু বিদ্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ঘোষনা দিয়েছে যে, উক্ত বিদ্যালয়টি হামাসের সদস্যরা ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এদিকে মিশর রাফা সীমান্ত সড়ক ও রাফা ক্রসিং ইসরাইলি বাহিনী উন্মুক্ত করলেও মিশর হতে পাঠানো ত্রান সামগ্রী প্রবেশে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড এর মুখপাত্র আবু ওবাইদা জানিয়েছে দখলদার বাহিনী গাজা যুদ্ধে সামরিক শক্তি রনকৌশল অপেক্ষা খাদ্যকেই সামনে নিয়ে আসতে চাইছে আর তাই গাজায় খাদ্য সামগ্রী প্রবেশে বাঁধা প্রদানের পাশাপাশি অভূক্ত ফিলিস্তিনিদের মাঝে বিলি বন্টনে ও ব্যঅপক ভাবে বাঁধা প্রদান করছে। আবু ওবাইদা আরও বলেন,কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা হামাস যোদ্ধাদের অবদমিত করতে পারবে না। এদিকে উত্তর পশ্চিম গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিরোধ হামলার মুখে পড়ছে। বিশেষ করে খান ইউনিসে দখলদার বাহিনীর ট্রাঙ্ক বহর সহ সামরিক যানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে হামাস যোদ্ধারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্তৃক ইসরাইল,হামাস যুদ্ধ বিরতি বিষয়ক রোডম্যাপ ঘোষনা ও তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হইনি। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরা জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধ বিরতিতে আরও শর্ত আরোপ করতে চায় যে কারনে যুদ্ধ বিরতির বিষয়টি বিলম্বিত ও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়অ ইসরাইলকে হুশিয়ারী উচ্চানর করে বলেছে হামাস যোদ্ধারা রক্তের বিনিময়ে প্রাণপন যুদ্ধ চালিয়ে ইসরাইলি দখলদারিত্বকে পরাহত করবে। যুদ্ধ বিরতির ক্ষেত্রে হামাস কোন অবস্থাতেই দখলদার ইসরাইলের একক সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে যুদ্ধ বিরতিতে মত করতে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিনিধি প্রেরণ করেছে। যেন উক্ত প্রতিনিধিরা হামাসকে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে যুদ্ধ বিরতিতে মতামত সৃষ্টি করতে পারে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও অপর এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গ্রেফতারের আবেদন করায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক আদালতের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছে। রাফা শহরে চলছে হামলা সেই সাথে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে তুমুল যুদ্ধ। রাফা পরিস্থিতি এতটুকু অশান্তহয়ে পড়েছে যে শহরটির অনেকাংশের নিয়ন্ত্রনে হামাস যোদ্ধারা। দখলদার বাহিনীর শত শত সেনা আল জাবালিয়া আশ্রয়া শিবির ঘেরাও করে রেখেছে। দখলদার বাহনিীর বক্তব্য আল জাবালিয়া আশ্রয় শিবির হামাস যোদ্ধাদের ঘাঁটিতে পরিনত হয়েছে। সাগরে আবারও হুতি যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে তবে এবার দখলদার ইসরাইলি বাহনিীর সদস্যরা গ্রিসের জাহাজে হামলা পরিচালনা করেছে। খবরে প্রকাশ গ্রিসের জাহাজটি ইসরাইলের বন্দরে মালামাল খালাসের জন্য যাচ্ছিল। গাজা উপত্যকার লাখ লাখ ফিলিস্তিনি চিকিৎসাহীনতায় দিন যাপন করছে।