এস এম জাকির হোসেন শ্যামনগর থেকে ॥ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরায় খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বাঁধ সংলগ্ন গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা ও ডুমুরিয়া গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ। সেই সাথে ভেসে যেতে পারে অসংখ্য মাছের ঘের। গতকাল ২২ জুন শনিবার দুপুরে গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের মালীবাড়ি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৫ নম্বর পোল্ডারের ৪০ থেকে ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ধসে নদীগর্ভে চলে যায়। জানা গেছে, শনিবার দুপুরে খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বেড়িবাঁধে হঠাৎ ফাটল ও ধস দেখেন। সহায়-সম্পত্তির ক্ষতির আশংকায় এলাকার কিছু মানুষ তাৎক্ষণিক বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেন। তবে দুপুরের পরে বেড়িবাঁধের ৪০ থেকে ৫০ মিটার নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ৯নং সোরা গ্রামের মালীবাড়ি বেড়িবাঁধ এলাকার বাসিন্দা হুদা মালী জানান, দুপুর থেকেই বাঁধ ধসে যাওয়া জায়গায় মাটি ও বস্তা ভর্তি বালু ফেলে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করেছেন স্থানীয়রা। তবে দুপুরের পরে ভাঙনের পরিধি বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে কী হবে, তা বলা যাচ্ছে না। ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানান, বাঁধের যে স্থান ধসে গেছে সেখানে আর মাত্র দুই থেকে তিন হাত অবশিষ্ট আছে। বাঁধের মাটি ঢেউ লেগে ধুয়ে যাচ্ছে। ধসে যাওয়া স্থানে সংস্কারের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাবুরা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনজুর হোসেন বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাঁধের ওই স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সে সময় পাউবো বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়। তবে সঠিক তদারকি না থাকায় মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়। এ কারণে এক মাস না যেতেই বাঁধটি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, শনিবার দুপুরের পর গাবুরা ৯নং সোরা মালীবাড়ি সংলগ্ন বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশ ভেঙে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সেখানে বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীরা গাবুরার ভাঙনের বিষয়ে খোঁজ খবর রাখছেন। আমি নিজেও সেখানে যাচ্ছি। জরুরীভাবে রাতেই সেখানে বস্তা ফেলানোর কাজ করা হবে।