পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ২য় খাত চিংড়ি শিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং চিংড়ি ও মৎস্য খাতকে রক্ষা করার লক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতি কার্যালয়ে পাইকগাছা উপজেলা চিংড়ি চাষী সমিতি এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে। উপজেলা চিংড়ি চাষী সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চিংড়ি চাষী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু। সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিপন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চিংড়ি চাষী নির্মল মজুমদার, আনারুল ইসলাম, মনোহর চন্দ্র সানা, এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, আলমগীর হোসেন, সুনীল মন্ডল, জাকির হোসেন, শওকত মোড়ল, রেজাউল ইসলাম, ফজলুর রহমান, জিন্নাত আলী সানা, সন্তোষ কুমার সরদার, সায়েদ আলী কালাই, জামিলুর রহমান রানা, মুজিবর রহমান, আসলাম পারভেজ, দেবব্রত দাশ, ওবাইদুল হক মিঠু ও বাবলু খলিফা। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চিংড়ি চাষী ও মৎস্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা বলেন, ৮০’র দশক থেকে পাইকগাছা সহ উপকূলীয় অঞ্চলে চিংড়ি চাষ শুরু হয়েছে। চিংড়ি চাষের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, আর্থকর্মসংস্থান সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে চিংড়ি সহ এ অঞ্চলের মৎস্য সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হবে। উপকূলীয় পরিবেশ ও প্রকৃতি সহনশীল মৎস্য এবং কৃষি ফসল উৎপাদন করতে হবে। চিংড়ি চাষ অভিশাপ নয় আশির্বাদ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন চিংড়ি চাষ বন্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। চিংড়ি চাষ বন্ধ হলে ব্যবসা বাণিজ্য সহ মানুষের আয়ের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। ধনী, গরীব সহ সব শ্রেণির মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বক্তারা চিংড়ি চাষ বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্য বদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।