দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী মুখে বলে চলেছে যে তারা হামাসকে ধ্বংস করেছে, ধ্বংস এবং নিশ্চিহৃ করবে, অথচ বাস্তবতা হলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর মুল লক্ষ্য আর উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনিকে নিশ্চিহৃ করা এবং গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করা। কারন তারা স্পষ্ট ভাবেই অবগত যে গাজায় উপত্যকার প্রতিজন ফিলিস্তিজিন একেক জন হামাস যোদ্ধা, আর এ বিশ্বাস থেকেই দখলদার বাহিনীর সদস্যরা পুরো গাজা উপত্যকা ব্যাপী বিমান হামলার মাধ্যমে নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের উপর বোমা হামলার মাধ্যমে গণহত্যা পরিচালনা করে চলেছে। ফিলিস্তিনিরা কোন অবস্থাতেই হামাসের বিপক্ষে নয়, লাখলাখ ফিলিস্তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি অবস্থান নিয়েও হামাস যোদ্ধাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করে চলেছে। ইতিমধ্যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় প্রায় আটত্রিশ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অধিকাংশ ফিলিস্তিনি মনে প্রানে বিশ্বাস করে যে হামাস গত সাত অক্টোবর ইসরাইলের ভু-খন্ডে যে নজির বিহীন হামলা চালায় এবং শত শত ইসরাইলি (ইহুদী) কে হত্যা করে ও অপরহন করে নিয়ে আসে তা সঠিক ছিল। এখানেই শেষ নয় ফিলিস্তিনি ভু-খন্ডে প্রতিটি প্রান্তে এবং প্রতিটি ফিলিস্তিনি এলাকাতে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অবস্থান করে থাকে। বিধায় তারা স্পষ্ট ভাবেই উপলব্ধি করতে সক্ষম যে দখলদার বাহিনীর অর্থাৎ ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনিদের মুক্তির অগ্রদূত হামাসেরপক্ষে। ইসরাইল হিজবুল্লা তথা লেবাননের প্রতিঅনেকটা নমনীয় ভাবে প্রদর্শন করছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে যে, ইসরাইল হিজবুল্লাহর শক্তি এবং সামর্থ সম্পর্কে অবগত যে কারনে ইসরাইল লেবাননে হামলা চালিয়ে নিজেকে কতটুকু নিরাপদ রাখবে এটাই ভাবনার বিষয়, উল্লেখ্য সম্প্রতি একাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সেনা কমান্ডাররা জানিয়েছে হিজবুল্লাহর সংরক্ষনে থাকা ক্ষেপনাস্ত্র গুলো কোন অবস্থাতেই ইসরাইল প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার সক্ষমতা রাখে না। হয়তবা সে কারনে ইসরাইল লেবাননে হামলা হতে নিজেকে বিরত রেখেছে। ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় সহ একাধিক স্থানের ছবি ইতিমধ্যে হিজবুল্লাহ প্রকাশ করে ইসরাইলকে তাদের শক্তি ও সক্ষমতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এখানেই শেষনয় সম্প্রতি হিজবুল্লাহ ইসরাইলের অভ্যন্তরে শক্তিশালী ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। ইসরাইল এবার হিজবূল্লাহর সাথে সমঝোতায় পৌছাতে চাইছে তবে হিজবুল্লাহর পক্ষ হতে ইসরাইলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানান দিয়েছে যে কোন অবস্থাতেই হামলা বন্ধ হবে না এবং কোন ধরনের সমঝোতার জায়গা থাকবে না। যতক্ষন না ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের উপর হামলা বন্ধ না করবে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা আবারও রাফায় হামাসের ফাঁদে পড়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানাচ্ছে গতকাল দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফা শহরের অভ্যন্তরে নির্বিচারে গুলি বর্ষন করতে থাকলে হামাস যোদ্ধারা অতিকৌশলে অন্তত দশ থেকে বারজনের একটি দলকে ফাঁদে ফেলে ব্যাপক ভিত্তিক হামলা পরিচালনা করে। হামাস যোদ্ধারা গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় সুরক্ষিত সুড়ঙ্গে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ করছে এবং হামাসের আবাসস্থল প্রতিটি সড়ঙ্গ অত্যন্ত সুরক্ষিত,হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি অনেকদুর এগিয়ে চলেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী অর্থাৎ ইসরাইল সরকার ই চাইছে যুদ্ধ বিরতি। আল জাজিরা টেলিভিশনের পক্ষ হতে প্রচার করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই চাইছে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্য করতে কারন দেশটির সেনা বাহিনীর সদস্যরা হামাসের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ও সেনা সদস্যদের মাঝে এক ধরনের যুদ্ধ অনিহা মনোভাবের অবতরনা ঘটেছে। পশ্চিমা মিডিয়া সহ এএফপির খবরে বলা হয়েছে ইসরাইল যে কোন সময়ে সেনা অভ্যুত্থান ঘটতে পারে কারন সেনাবাহিনীর সাধারন সৈনিকদের পাশাপাশি সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সরকারের সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও বর্তমানপ্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যকার বিতর্ক বাইডেন হামাস ইসরাইল যুদ্ধে হামাসকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে ইতিমধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত অস্ত্র দিচ্ছে আগামী দিনে অস্ত্র সরবরাহ আরও বৃদ্ধি করবে।