এফএনএস: দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাড়তি আমদানি হওয়ায় রমজানের আগেই কমেছে পেঁয়াজের দাম। দু’দিন আগেও যে পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন কমে ১৪-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশীয় পেঁয়াজ ২৮-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে কমে ২৪-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের মানুষের মধ্যে। ক্রেতা জোবায়ের আহমেদবলেন, কয়েকদিন আগেও হিলি বাজার থেকে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। এখন দাম আরও কমেছে। এখন ১৪-১৫ টাকা কেজি দরে কিনতে পারছি। এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষদের বেশ সুবিধা হয়েছে। সামনে যেহেতু রমজান, পেঁয়াজের দাম কম থাকলে আমাদের জন্য বেশ সুবিধা হয়। ব্যবসায়ী শাকিল খানবলেন, বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। তাই রমজানের আগে পেঁয়াজের দাম কমে এসেছে। দু’দিন আগে যে পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলাম, আমদানি বাড়ায় তা কমে ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কমেছে। বর্তমানে ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী বাবলুর রহমানবলেন, পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ ছিল। মেয়াদ শেষ হলে এরপরে আর কোনও পেয়াজ আমদানি হবে না। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এলসির সব পেঁয়াজ আমদানির লক্ষ্যে রফতানিকারকদের সঙ্গে কথা হয়। পরে গত কয়েকদিন ধরে বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ২৯ মার্চ শেষদিনে ৬৩ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়। এতে চাহিদার তুলনায় দেশের বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। কমেছে দাম। আমাদের লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনবলেন, বন্দর দিয়ে গত ২৯ মার্চ ৬৩টি ট্রাকে এক হাজার ৬৯০টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু ট্রাক আমদানিকারকগণ বন্দর থেকে খালাস করে নিলেও অবশিষ্ট পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় ছিল। তবে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে নতুন করে কোনও পেঁয়াজ আসেনি। তবে গত দু’দিনে আগের অপেক্ষায় থাকা ট্রাক থেকে পেঁয়াজ খালাস করে নিয়েছেন আমদানিকারকরা।