খুলনায় পবিত্র ইদ-উল-আযহা-২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইদ-উল-আযহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে ইদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা মডেল মসজিদে ইদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য মসজিদ ও ঈদগাহসমূহে পরিচালনা কমিটি জামাতের সময় নির্ধারণ করবে। ইদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ইদ মোবারক (বাংলা ও আরবী) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ইদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইদ-উল-আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না। ইদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিরুৎসাহিত করতে হবে। ইদের সময় অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে টার্মিনাল সংযোগ সড়ক, রেলস্টেশন, বাস ও নৌযান টার্মিনালসমূহে সাদা পোষকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাল টাকার বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোরবানির চামড়ার বাজারকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে সতর্ক থাকতে হবে। পশুর চামড়া ভালোভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কোরবানির পর পশুর রক্ত দ্রুত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলাসহ দ্রুততম সময়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে। পশুর চামড়া নির্ধারিত দামে ক্রয় করা এবং এতিমখানা মাদ্রাসাসহ অন্যান্যরা যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। খুলনা মহানগর ও জেলায় কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে যত্রতত্র পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। পরিবেশ দূষণরোধে নির্দিষ্ট স্থানে সকল পশু কোরবানি/জবাই করতে হবে। প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের সময় মুসল্লীদের গাড়ি পার্কিং এর জন্য খুলনা জেলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়াম সংরক্ষিত থাকবে। মুসল্লীদের অযুর জন্য পানির ব্যবস্থা রাখা হবে। বাস, লঞ্চ, স্টিমারে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে না পারে এবং বেপরোয়াভাবে যান চলাচল করতে না পারে তার জন্য আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নের কোন সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে র্যাবের কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৭৭৭৭১০৬৯৯-এ জানানো যাবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুবিধাজনক সময়ে সেমিনার/আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বাস-মিনিবাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। বাসের ছাদে বা হাতলে ঝুলে কোন যাত্রী বহন করা যাবে না। ইদ উপলক্ষে দৌলতপুর খেয়াঘাট, জেলাখানা ঘাট ও রূপসা ঘাটসহ সকল লঞ্চ, খেয়া ও ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত টোল/ভাড়া আদায় করা যাবে না এবং লঞ্চ/নৌকা/ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। সকল ঘাটে ভিজিলেন্স টিম ও ভ্রাম্যমাণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। পবিত্র ইদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হবে।-তথ্য বিরবণী