দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার বাহিনীর সদস্যরা পুরো গাজা উপত্যকায় হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রবল প্রতিরোধের মুখে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকার প্রতি এলাকাতে বিশাল হামলার মাধ্যমে যেমন বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে অনুরুপ ভাবে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা প্রতিদিনই গাজার কোন না কোন এলাকাতে হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে। রাফা আর উত্তর গাজার পর এবার দখলদার বাহিনীর সদস্যরা শুজাইয়া এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা এত টুকু প্রতিরোধ হামলার মুখে যে,শুহাইয়া এলাকা হতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পিছু হচ্ছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে গত সপ্তাহে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যলা শুজাইয়া এলাকায় নির্বিচারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের উপর বিমান হামলার পর স্থল অভিযান শুরু করে আর উক্তস্থল অভিযান শুরুর পরপরই হামাস যোদ্ধারা তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছায় যে দখলদার বাহিনীর সদস্যলা তাদের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষে অতিরিক্ত সেনার সমাবেশ ঘটায় শুজাইয়ায় কিন্তু এতেও কোন ধরনের সুবিধা করতে পারেনি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যলা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং সামরিক শক্তি সম্পন্ন সেই সাথে প্রযুক্তি নির্ভরতায় পরিপূর্ণ ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় প্রযুক্তিতে তৈরী করা অস্ত্রের সাহায্যে যুদ্ধরত হামাসের কাছে। পরাজিত হওয়ার ঘটনা কেবল অসম্ভব নয়বিস্ময়ের বিষয় ও বটে। আর গাজার শুজাইয়ায় সেই ঘটনাই ঘটেছে। আল জাজিরা টেলিভিশন আরও জানিয়েছে ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে শুজাইয়ায়। গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উক্ত এলাকা হতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পিছু হটতে শুরু করেছে। এদিকে দখলদার বাহিনীর প্রধান এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বারবার বলে আসছে যে,হামাসকে ধ্বংসকরা হয়েছে। হামাস এর সশস্ত্র ব্রিগেড আল কাসেমের মুখপাত্র আবু ওবাইদা বলেছেন কোন অবস্থাতেই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে ছাড়া হবে না। আমাদের যোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ পরবর্তি গাজার বিদেশী বা বহুজাতিক বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত হবে ইসরাইলের এমন বক্তব্য ও প্রস্তাবকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে হামাস প্রধান ইসরাইল হানিয়া। তিনি আবারও বলেছেন গাজা কিভাবে চলবে, ফিলিস্তিনিরা কিভাবে গাজার শাসন কার্য পরিচালনা করবে তা একমাত্র ফিলিস্তিনিরাই নির্ধারন করবে। এদিকে হিজবুল্লাহ আবারও ইসরাইলের ভূ-খন্ডে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এবং উক্ত হামলায় দেশটির অভ্যন্তরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছ। ইসরাইল ও হামাস বর্তমান সময়ে মুখোমুখি অবস্থানে অবস্থান করছে। যে কোন সময়ে বড় ধরনের সংঘাত ঘটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আবারও হুতি যোদ্ধাদের হামলায় কুপোকাত। হুতিরা তাদের নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্র তৈরী করেছে উক্ত ক্ষেপনাস্ত্র ইসরাইলের ভু-খন্ডে নিক্ষেপ করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে ইসরাইল। হুতি যোদ্ধারা গতকাল লোহিত সাগরে একই সময়ে চারটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে বলে খবর দিয়েছে আল জাজিরা কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধ বিরতির আলোচনা চলছেই এক দিকে যুদ্ধ বিরতির আলোচনা অন্যদিকে নিরীহ ফিলিীস্তনিদের উপর বিমান হামলা এ বিষয়ে আবারও হামাস এর পক্ষহতে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে যুদ্ধ বিরতি আলোচনার মধ্যে ফিলিস্তিনি হত্যা নিধক নিজেদের দেউলায়িত্ব প্রমান করে। এদিকে দখলদার ইসরাইলকে পুনরায় ২০ হাজার বিধ্বংসী অস্ত্র সরবরাহ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।