দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামাস যোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধ করতে দৃশ্যতঃ তারা ক্লান্ত এবং বিষন্ন একই সাথে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন। গাজায় যুদ্ধরত হাজার হাজার ইসরাইলি সেনারা প্রতিনিয়ত এবং প্রতিমুহুর্তে হামাস যোদ্ধাদের হামলায় আতঙ্কিত। দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনিরা নির্বিচারে হত্যা করলেও তারা কোন অবস্থাতেই স্বস্তিতে নেই। কখনও হামাস যোদ্ধারা সম্মুখ যুদ্ধে আবার কখনও গেরিলা হামলায় দখলদার বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা পরিচালনা করে তাদেরকে হত্যা করে চলেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে দখলদার ইসরাইল সেনারা হামাসের সাথে আর যুদ্ধ করতে চাইছে না। গাজা যুদ্ধে অংশ নেওয়া সেনা ও ইসরাইলের উর্দ্ধতন সেনাদের মনোভাব বুঝতে পেরে দৃশ্যতঃ ইসরাইলির সেনা বাহিনীর জেনারেলরা গাজায়যুদ্ধের পরিবর্তে যুদ্ধ বিরতি চাইছে। গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে ইসরাইলি সেনা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের জেনারেলরা গাজায় তাদের সেনারা যুদ্ধচালিয়ে যাক এবং প্রতিনিয়তমৃত্যু মুখেপতিত হোক আর চাইছে না। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে কোন সময়ে ইসরাইলের সেনা বাহিনী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে দখলদার ইসরাইলির উপর হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলের পক্ষ হতে হিজবুল্লাহর সাথে সমঝোতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে চাইছে আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সাথে চুক্তির ক্ষেত্রে যে শর্ত প্রয়োগ করেছে তাহলো ইসরাইল আগে গাজায় হামলা ও গণহত্যা বন্ধ করবে তবেই না তারা ইসরাইলে হামলা হতে নিজেদেরকে বিরত রাখবে। হুতি যোদ্ধারা তো প্রকাশ্যেই ঘোষনা দিয়ে বলেছে যতদিন পর্যন্ত দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় গণহত্যা পরিচালনা করবে ততোদিন পর্যন্ত হুতি যোদ্ধারা সাগরে ইসরাইল ও ইসরাইলি সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা হামলা পরিচালনা করবে। হুতি যোদ্ধারা ইসরাইলের ভূ-খন্ডে যেভাবে হামলা চালাচ্ছে সে ভাবে হামলা অব্যাহত রাখবে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিসের বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট ও মাইকিং করে ঘোষণা দিয়েছে অবিলম্বে খান ইউনিস হতে অধিবাসিদের সরে যেতে। এমন ঘোষনায় জাতিসংঘ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত তিনদিন ব্যাপী দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা খান ইউনিসের সর্বত্র ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। গাজা কেবল মৃত্যুপুরীতে পরিনত হয়েছে তানয় এইগাজা উপত্যকা দৃশ্যতঃ একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিনত হয়েছে। যেখানে ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকবার বা স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করার স্বাধীনতা নেই। পুরো গাজা উপত্যকা যেন উন্মুক্ত কারাগারে পরিনত হয়েছে এমন মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের কল্যানে ইয়েমেনের কাছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন অসহায় অবস্থানে পৌছেছে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর এবং ধনী দেশ হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত সৌদি আরব এবার ইসরাইলকে কঠোর হুশিয়ারী দিলো। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সৌদিআরব ইসরাইলকে গাজার নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদেরউপর হামলা হত্যা খান্ড বন্ধের আহবান জানিয়ে বলেছেন অব্যাহত ভাবে এমন হত্যাকান্ড ইসরাইলকে বিপদজনক পর্যায়ে নেবে। এদিকে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর পরস্পর হামলায় ১৮ ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে। এদিকে গাজা যুদ্ধে হামাস কমান্ডাররা সরাসরি অংশ নিচ্ছে বিশেষ করে ইসরাইলের দৃষ্টিতে মোস্টওয়ানটেড ইয়হিয়া সাধারন হামাস যোদ্ধাদের সাথে গাজা যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে এমন তথ্য খোদ ইসরাইল স্বীকার করেছে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে অবস্থান নেওয়া হামাস নেতারা জানিয়েছে হামাসের যোদ্ধারা বেঁচে থাকা পর্যন্ত তারা তাদের প্রিয় পবিত্রভূমি ফিলিীস্তনির স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষা করবেই করবে।