দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় প্রতিনিয়ত হামলা ও হত্যা করলেও তারা প্রতিমুহুর্তে চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। গাজা ভু-খন্ডে যেমন তারা হামাসের দ্বারা হামলারও হত্যার শিকার হচ্ছে অনুরুপ ভাবে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে হিজবুল্লাহ, হামাস ও হুতিদের হামলায় বিপর্যস্থ হচ্ছে। সাগরে প্রতিদিনই ইসরাইলি ও ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা পরিচালনা করছে হুতি যোদ্ধারা। গতকালও ইসরাইলি ভূ-খন্ডে বড় ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। আর এবারের হামলা চালানো হয়েছে ইসরাইলের সামরিক ঘাটিতে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে লেবানন ভিত্তিক সশস্ত্র গেরিলা সংগঠন হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ঘোষনা দিয়ে ইসরাইলের চার সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করেছে। লেবাননের মধ্যস্থান হতে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ক্ষেপনাস্ত্র ও দক্ষিন এলাকা হতে শক্তিশালী রকেট হামলা পরিচালনা করে। দখলদার বাহিনীর চার চারটি সামরিক ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় মুহুর্তের মধ্যে পুরো সামরিক ঘাঁটি গুলোতে আগুন ধরে যায় এবং পৃথক পৃথক সামরিক ঘাঁটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দখলদার সেনারা হতাহত হয়। এখানেই শেষ নয় হিজবুল্লাহর ক্ষেপনাস্ত্র ও রকেট হামলার পাশাপাশি হুতি যোদ্ধারাও তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরী করা ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্র হামলা পরিচালনা করে। সম্প্রতি ইসরাইলের মন্ত্রীসভা লেবাননে হামলার অনুমোদন করলেও হিজবুল্লাহ তথা লেবাননে হামলার ক্ষেত্রে ইসরাইল ধীরে চলো নীতির অবলম্বন ঘটাতে চাইছে। উল্লেখ্য বেশকিছু দিন পূর্বে হিজবুল্লাহ ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে অত্যাধুনিক ড্রোনের সাহায্যে ইসরাইলের সামরিক ঘাঁটি সহ গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থাপনার ছবি তুলে প্রকাশ করলে দৃশ্যতঃ ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ হিজবুল্লাহর শক্তি ও সামর্থ সম্পর্কে বিশেষ ভাবে অবগত হয় যে কারনে ইসরাইল হিজবুল্লাহর উপর হামলা বা লেবাননে সামরিক আগ্রাসন পরচালনা হতে বিরত থাকছে। এদিকে গাজা যুদ্ধে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পরাজিত হতে চলেছে এমনটি ব্যাপক ভাবে প্রচার পাচ্ছে। গত নয় মাসে ইসরাইল বাহিনীর অন্ততঃ পাঁচ হাজার ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করেছে অবশ্য ইসরাইলের পক্ষ হতে তাদের পাঁচ হাজার সেনা হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দৈনিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে প্রকাশিত ওয়াশিনটন পোষ্ট জানিয়েছে গাজা যুদ্ধের যে চিত্র তাতে দিনে দিনে স্পষ্ট হচ্ছে যে গাজা যুদ্ধেইসরাইল পরাজিত হতে চলেছে। গাজা যুদ্ধে ইসরাইল পরাজিত হওয়ার আরও যে সকল কারন বিদ্যমান তার মধ্যে বিশেষ ভাবে আলেখ্য দেশটির যুদ্ধরত সেনা সদস্যদের মাঝে সন্দেহ অবিশ্বাস এবং হতাশা, অধিকাংশ সেনারা জীবন হানীর শঙ্কায় আতঙ্কীত তারা গাজা যুদ্ধে প্রাণ দিতে চাইছে না। ইসরাইলের সাধারন সেনাদের পাশাপাশি উর্ধতন সেনা কর্মকর্তারাও চাইছে না গাজা যুদ্ধ চলমান থাকুক। তারাও যুদ্ধ বিরতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুদ্ধ বিরতি চাইছে। যুদ্ধ বিরতির ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বড় বাঁধা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। হামাসের পক্ষ হতেও যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত প্রকাশ করলেও শেষ মুহুর্তে ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে নানুমুখি অযাতিত শর্ত প্রয়োগ করলে তা ভেস্তে যায়। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যলা উত্তর ও মধ্য গাজায় হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা চরম ভাবে প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পশ্চিম গাজায় সপ্তাহ ব্যাপী দখলদার বাহিনীর হামলার পর গতকাল দখলদার বাহিনীর সদস্যরা চরম ভাবে হামলার মুখে পড়ে। এদিকে ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের উপর নির্বিচারে শারিরীকও মানসিক নির্যাতন পরিচালনা করছে ইসরাইল বাহিনীর সদস্যরা এখানেই শেষনয় কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি নারীদের উপর পরিচালনাকরা হচ্ছে যৌন নির্যাতন। এদিকে ইসরাইলের হামলায় হামাস নিয়ন্ত্রিীত গাজার এক উপমন্ত্রী নিহত হয়েছে। ইরান আবারও দখলদার ইসরাইলিকে হুমকি দিয়েছে। তুরস্কের পক্ষ হতে বিশ্ববাসিকে আহবান জানিয়েছে ইসরাইলকে অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় রাফা শহরের অন্তত ঃ ৮০ ভাগ বসতবাড়ীধ্বংস হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল গুলোর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে।