স্টাফ রিপোর্টার ঃ সাতক্ষীরা পৌরসভার কদততলা চালান পট্টি রৌদ্র বৃষ্টিতে ভিজে একাকার আর অরক্ষিত, রৌদ্রবৃষ্টি সম্পৃক্ত উক্ত পট্টির দুই শতাধীক দোকানী চরম অস্বস্থিতা ও নিরাপত্তাহীনতার বলয়ে পণ্য সামগ্রী বিকিকিনি করছে। সাতক্ষীরা পৌরসভার আওতাধীন এবং পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত চালান পট্টির দুরবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে দোকানীর সেই সাথে তাদের পণ্য সামগ্রী সম্পূর্ণ ভাবে যবুথবু পর্যায়ে। দোকান প্রতি দশহারে প্রতিদিন পৌরসভার অনুকুলে দোকানীরা অর্থ প্রদান করে আসছে। শহরের বৃহত্তম এই পট্টির দোকানীরা পণ্য সামগ্রী সুরক্ষিত রাখতে ছিদ্র দেওয়া, ভেঙ্গে পড়া, ফাকা হওয়া সুবিশাল টিনের চালের নিচে ক্ষুদ্রাকৃতির চাল, নেট, পলিথিন দিয়ে বিকল্প ছাউনি তৈরী করে পণ্য সামগ্রী নিরাপদ রাখার চেষ্টায় রত। রৌদ্রের সময় পণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি দোকানীরা রৌদ্রে পুড়ছে, বৃষ্টির সময় গুলোতে অনুরুপ বৃষ্টিতে পানিতে ভিজতে হচ্ছে। রৌদ্র এবং বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে পণ্য সামগ্রী। পট্টিটিতে মুদি, কসমেটিকস, সবজি, মনোহারী, মাছ,সবজি আড়ৎ সহ বহু বিধ খুচরা ও পাইকারী দোকানের উপস্থিতি, প্রতিনিয়ত, প্রতিমহুর্তে রৌদ্রে বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে দোকানীরা ব্যবসা করছে। পট্টিটিতে আগত ক্রেতাদেরকেও রৌদ্র বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। গতকাল কদমতলা চালান পট্টি সরেজমিন পরিদর্শনে দেখাগেছে বৃষ্টির কারনে কোন কোন ব্যবসায়ী পণ্য সামগ্রী পলিথিনে জড়িয়ে আবারকেউ কেউ পলিথিনে মুড়িয়ে রেখেছে, পৌরসভা পরিচালিত বৃহত্তম এই চালান পট্টি পৌরসভার রাজস্ব উপার্জনের যেমন উৎস্য অনুরুপ একই পট্টিতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর পাওয়ার ক্ষেত্র অথচ চরম দুরবস্থায় পৌছেছে এই পট্টি। জনদুর্ভোগ, ব্যবসায়ীদের স্বচ্ছন্দতা, নিরাপত্তা, পন্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা একই সাথে পট্টিটির সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় পৌরসভার দায়িত্বহীনতার বিষয়টি বারবার আলোচিত হচ্ছে। প্রতিদিন দুই শতাধীক দোকানের দোকান প্রতি দশ টাকা উপার্জন কম নয়, অথচ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা সাধারনের ক্রয় বিক্রয়ের স্থাপনাটি মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে, অবিলম্বে চালানপট্টির সংস্কার না হলে ক্রেতা বিক্রেতাদের দুর্ভোগ আর নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি পট্টির ছাউনির অংশবিশেষ টিন,রড, স্তুপ ঢসে পড়ে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সাতক্ষীরা পৌরসভা দেখবেন কি?