গাজার নিয়ন্ত্রন হামাসের কাছেই থাকবে ঃ যুদ্ধ বিরতি চুক্তি ইসরাইলের ভিন্ন সূর ঃ গাজার ক্ষমতা হামাসকে ছাড়ার প্রস্তাব ঃ হামাসের না ঃএবার নতুন ভাবে গাজা অভিযানে ইসরাইলি বাহিনী ঃ আড়াই লাখ বাসিন্দাকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ঃ গাজায় ৬৫ দিন কোন ঢুকছে না ঃ বাঁধা দিচ্ছে দখলদার বাহীনি ঃ আবার হামাসের হাতে ইসরাইল কমান্ডো নিহত ঃ পশ্চিমতীরে ইসরাইল বসতি চলছে ঃ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য ঃ গাজায় ইসরাইলি সেনারা বিপর্যস্থ ঃ গাজা যুদ্ধে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে দখলদার বাহিনী ঃ রাফায় চলছে ইসরাইল সেনা হামাস মুখোমুখি যুদ্ধ ঃ আবারও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইসরাইলে ঃ ইসরাইল হিজবুল্লাহ আলোচনা ঃ গাজায় হামলা বন্ধই একমাত্র সমাধান জানালো হিজবুল্লাহ ঃ ইসরাইলে হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহার ইসরাইলে ফিলিস্তিনি ক্ষেপনাস্ত্র হামলা হুতিদের ঃ উত্তর গাজায় দমন পিড়নের প্রতিবাদে সাধারন ফিলিস্তিনিরা ঃ গাজার সর্বত্র দুর্ভিক্ষের প্রতিচ্ছবির ধ্বংসস্তুপের নিচে ফিলিস্তিনিদের লাশ।
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিশ্ব বাসির তথা বিশ্ব মানবতার প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। গাজা উপত্যকায় গত নয় মাসের ব্যবধানে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৮ হাজারে বেশী নীরিহ নিরস্ত্র ও বেসামরিক নিরীহ গণহত্যাকারী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই গাজা উপত্যকা মৃত্যু পুরীতে পরিনত হচ্ছে এবং শ্মশানে পৌছাচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর কাছে ফিলিস্তিনি হত্যা কোন বিষয় নয় গিনিপিকের মত মানুষ হত্যা করে চলেছৈ। তাদের একমাত্র লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদেরকে নিশ্চিহৃ করা, ধ্বংস করা। গতকালও দখলদার বাহিনী গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা পরিচালনা করে অন্তত ঃ চল্লিশ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তোড়জোড় করছে দক্ষিন আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় দীর্ঘদিন যাবৎ আন্তর্জাতিক আদালত শুনানী গ্রহন করেছে উক্ত শুনানী গ্রহন শেষ হয়েছে। শুনানীতে অংশ গ্রহণকারী বিচারকদের মন্তব্য, কথকপথন সহ উক্তির প্রেক্ষিতে স্পষ্ট হচ্ছে যে কোন সময়ে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করতে পারে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক আদালত ইতিমধ্যে শুনানী সম্পন্ন করেছে উক্ত শুনানীতে স্পষ্ট হয়েছে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে আল জাজিরা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যেহেতু নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে আর উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা যেন জারী না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছে। দেশটি যুক্তরাজ্যের মাধ্যমে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী না করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এবার গাজার নতুন ভাবে ব্যাপক ভিত্তিক বিমান হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আর উক্ত বিমান হামলার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত দুই দিন যাবৎ বিমান হতে গাজা উপত্যকায় লিফলেট ছড়াচ্ছে ও মাইকিং করছে। গাজায় বসবাসরত আড়াই লক্ষাধীক ফিলিস্তিনিকে এবার গাজা ছাড়তে হচ্ছে। দখলদার বাহিনীর ভাষ্য গত দুইতিন মাসে গাজার উত্তরাঞ্জলে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সদস্যরা পুনরায় সংগঠিত হয়েছে। এবং উক্ত সংগঠিত হামাস সদস্যদের নির্মূলের লক্ষ্যেই তাদের নতুন ভাবে অভিযান। এদিকে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে ইসরাইলে ও লেবাননে একে অপরে হামলা হতে বিরত থাকার বিষয়ে আলোচনা হলেও তা পূর্ণতায় পাইনি। হিজবুল্লাহর পক্ষ হতে বলা হয়েছে ইসরাইলকে গাজায় গণহত্যা ও হামলা বন্ধকরতে হবে তাহলে অবশ্যই হিজবুল্লাহ ইসরাইলে হামলা বন্ধ করবে। এদিকে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে ইসরাইলি এবার নতুন শর্ত আরোপ করেছে আরোপিত শর্তে বলা হয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রন হামাসকে ছেড়ে দিতে হবে, হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে গাজার নিয়ন্ত্রন কার বা কাদের কাছে থাকবে তা কেবলমাত্র ফিলিস্তিনিরাই নির্ধারন করবে। গতসপ্তাহ ব্যাপী পশ্চিম গাজায় ইহুদী বসতি জোরদার করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আর উক্ত ঘটনায় জাতিসংঘের পক্ষ হতে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীরা সাগরে, জাহাজে হামলার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ও খবরদারি হ্রাস পাচ্ছে। দখলদার বাহিনী গাজায় বিশেষ করে রাফা শহরে যতটুকু হামলা চালিয়েছে হামাস সদস্যদের দ্বারা ততোটুকু প্রতিরোধ হামলার সম্মুখিন হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর এক কমান্ডারকে হত্যা করেছে হামাস যোদ্ধারা, এখানেই শেষ নয় রাফায় কৌশলেও ধরা খাচ্ছে দখলদার বাহিনী। ৬৫ দিনে গাজায় কোন ধরনের ত্রান প্রবেশে ও বিতরনে বাঁধা প্রদান করছে।