দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস নির্মূলে তাদের সাফল্যের গুনগান গাইলেও পুরোগাজা সিটিতে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে প্রাণপনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এমন কোন দিন নেই, এমন কোন সময় নেই যে দিনে বা সময়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা প্রতিরোধের মুখে পড়ছে না এবং হতাহতের শিকার হচ্ছে না, হামাস যোদ্ধারা যেমন অস্ত্র হাতে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে, অনুরুপ ভাবে কৌশলে দখলদার বাহিনীর ট্রাঙ্ক ও সাজোয়া যান সহ তাদের পুরো বহরকে কৌশলের ফাঁদে ফেলে হত্যা করছে। হামাস যোদ্ধারা গাজার অগনিত সুড়ঙ্গে অবস্থান নিয়ে প্রাণপনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। দখলদার বাহিনী হামাসের বীরত্বে আর প্রতিরোধ হামলায় এতটুকু অসহায় যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গত নয় মাসের ব্যবধানে হামাসের হাতে আটক ইসরাইলি বন্দীদের উদ্ধার করতে পারেনি। বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক সেনা বাহিনী, প্রযুক্তিতে অপারশক্তিধর ইসরাইল নামক মানবতা বিরোধী রাষ্ট্রটি গাজা উপত্যকার অতি অল্প আয়তনের এলাকায় বন্দী থাকা ইসরাইলি বন্দীদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে অথচ ইতিমধ্যে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির মধ্যে ৩৮ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। হিজবুল্লাহর সাথে ইসরাইলি প্রতিনিধিদের বৈঠক হলেও সে বৈঠক ফলপ্রসূ হইনি কারন হিজবুল্লাহর প্রস্তাব ইসরাইলকে আগে ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করতে হবে। এদিকে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি আলোচনায় অংশ নেওয়া হামাস ও ইসরাইলিদের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হওয়ার শেস মুহুর্তে তা বানচাল হয়েছে। আল জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হামাসের উদ্ধৃতি এমনই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়অহুর কারনেই শেষ মুহুর্তে যুদ্ধ বিরতি ভেস্তে গেছে। এদিকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ার পর হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে আগামীতে ইসরাইলের সাথে হামাসকোন ধরনের আলোচনায় বসবে না। তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিশর শেষ মুহুর্তে পর্যন্ত যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব স্বাক্ষর ও তা কার্যকর কারার প্রচেষ্টায় রত। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধচালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিলেও দেশটির সেনা সদস্যলা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। পশ্চিমা মিডিয়া ওয়াশিংটন পোস্ট ইতিমধ্যে বলেছে দেশটির সেনা বাহিনীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বিষয়ে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এদিকে এবার দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ঘোষনা দিয়ে গাজায় বিমান হামলা শুরু করেছে। হামাস আবারও ইসরাইলকে হুশিয়ারী করে বলেছে দখলদার বাহিনীর জন্য আগামীতে করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় দুইটি বিষয় নিশ্চিত করতে চাইছে। প্রথমত ঃ গাজা বাসিকে নিশ্চিহৃ করার ও গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা।এক মাসের অধিক সময় যাবৎ গাজায় কোন ধরনের ত্রান বিতরন কার্যক্রম চলছে না আর এ জন্যদায়ী প্রধানত দখলদার ইসরাইলি সেনারা। এদিকে গাজায় উত্তর গাজার পথে পথে,সড়কে সড়কে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। গজার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিমান হামলার মাধ্যমে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে দখলদার বাহিনী আর যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অক্ষত আছে সেগুলোতে বাস্তহারা ফিলিস্তিনি নারী পুরুষ ও শিশুরা বসবাস করছে। গাজার স্টেডিয়াম অর্থাৎ খেলার মাঠগুলোতেও আশ্রয় নিয়েছে নিরস্ত্র ও অসহায় ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনি যুদ্ধ মাঠে উপস্থিত থেকে হামাস সেনাদের সাথে নিয়ে যুদ্ধ করতে গাজার হামাস নেতা ইয়াহিয়া। এদিকে হুতি যোদ্ধারা আবারও ইসরাইলের পণ্যবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে।