দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পুরোগাজাকে মৃত্যুর মহাক্ষেত্রে পরিনত করেছে। গত দশ মাসের ব্যবধানে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৩৯ হাজার নিরীহ,নিরস্ত্র এবং বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তবে বাস্তবতা হলো দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা হামাসকে নির্মূল ও নিয়ন্ত্রন করতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় কেবল ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে তা নয়,দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা হামলার শিকার হচ্ছে, ইসরাইলি সেনারা নিহত হচ্ছে। দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনিদের উপর নির্বিচারে হামলা চালিয়ে কেবল নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবছে বা নিরাপদ রাখছে তা নয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীদের জন্য পুরো গাজা উপত্যকা মরনযন্ত্রণায় পরিনত হয়েছে। এদিকে হামাস ইসরাইলের মধ্যকার গাজা যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আলোচনা স্থগিত হয়েছে। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাসও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার ইতি ঘটলো। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে হামাস ইসরাইলের মধ্যকার যুদ্ধ বিরতি আলোচনা অনেক দুর এগিয়ে গেলেও তা আবারও থমকে গেছে যে কারনে গাজা যুদ্ধ সহসা থামছে না। আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে শেষ মুহুর্তে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাবে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর প্রধান বেনজানিয়া নেতানিয়াহুর অনাকাঙ্খিত প্রস্তাব সন্নিবেশন করায় যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব স্থগিত হলো। এদিকে হামাসের পক্ষহতে পুনরায় ঘোষনা করে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা অবশ্যই হামাসের কাছে পরাভূত হবে। হামাসের পক্ষ হতে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে হামাস অবশ্যই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগ্রাম করছে। যতদিন না পর্যন্ত স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র জন্ম না নেবে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর পরাজিত হবে ততোদিন পর্যন্ত হামাসের লড়াই অব্যাহত থাকবে। এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা আবারও ইসরাইলের ভূ-খন্ডে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে উক্ত ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে ততোই দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর গাজা যুদ্ধে পরাজয় স্পষ্ট হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা সপ্তাহ ব্যাপী ফিলিস্তিনিদের উপর ব্যাপক হামলা পরিচালনা করছে। অতি সম্প্রতি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক ভাবে যে হামলা পরিচালনা করছে তা প্রতিরোধ এবং প্রতিহত করছে হামাস। এদিকে গাজার ফিলিস্তিনিরা কেবল নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে তা নয় উপত্যকার অন্তত ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি লিভার রোগে আক্রান্ত। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে ফিলিস্তিনিদের মাঝে ব্যাপক ভাবে হেপাটাইটিস ছড়িয়ে পড়েছে। ধারনা করা হচ্ছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদেরকে নিরব হত্যাকান্ড চলাতে সরবরাহ করা খাদ্যে জীবানু অনুপ্রবেশ খাটিয়েছে। হামাস নেতারা গাজা অভ্যন্তরে অর্থাৎ গাজা যুদ্ধ মাঠে সরাসরি নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ করছে। এদিকে গাজায় নিরীহ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের হত্যাকান্ড পরিচালনা করার জন্য নামিলের পক্ষ হতে উদ্বেগ, ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। ইরান আবারও ইসরাইলকে হুমকি দিয়ে বলেছে ইসরাইলের পরিনতি হবে করুন। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা রাফা শহরে হামাস যোদ্ধাদের চরম প্রতিরোধের মুখো মুখি একই সাথে রাফার সড়ক ও সড়ক দ্বীপ গুলোতে দখলদার ইসরাইলি সেনারা হামাসের ফাঁদে পড়ছে।