দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গত দশ মাসেগাজা উপত্রকায় অব্যাহত ভাবে বিমান হামলা পরিচালনা ও স্থল অভিযান করে উনচল্লিশ হাজারের কাছাকাছি নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। কিন্তু দখলদার বাহিনী তাদের লক্ষ্যে পৌছাতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘ দশ মাসের হামলা আর হত্যাকান্ড বর্তমানসময়ের হামলা ও হত্যাকান্ড অপেক্ষা অনেকঅনেকগুনবেশী। দখলদার বাহিনী সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের কে নির্বিচারে হামলা পরিচালনাকরছে। তাদের হামলার ও হত্যঅর তীব্রতা এতটুকু বেশী যে দখলদার বাহিনী যেন পুরো গাজা উপত্যকায় বসবাস রত ফিলিস্তিনিদেরকে নিশ্চিহৃ করতে চায়। আর বাস্তবতা হলো সেটাই যে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পুরো ফিলিস্তিনিদেরকে নির্মূল করতে চাইছে। গাজা বর্তমান সময় গুলোতে মৃত্যু উপত্যকায় পরিনত হয়েছৈ প্রতিটি এলাকাতে লাশ আর লাশ। একদা ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মহাক্ষেত্র পবিত্র ভূমি খ্যাত গাজা আজ নিরব,নিথর, লাশের ভারে আক্রান্ত যে দিকে চোডখ যায় সেদিকেই নিরীহ এবং নিরস্ত্র ফিলিীস্তনিদের লাশ আর লাশ, কেবল পুরুষ ফিলিস্তিনিরা নয়, নারী এবং শিশুদেরকেও নির্বিচারে হত্যা করে চলেছৈ ইসরাইলি দখলদার বাহিনী। প্রতিদিনই নতুন নতুন গণ কবরের আবিস্কার হচ্ছে। ধ্বংস স্তুপের মধ্যে নিহত ফিলিস্তিনিদের লাশ, কোন কোন লঅশ কুকুরে টেনে বের করার চেষ্টা করছে। লাশের পাশে বিশেষ পাশে বিশেষ ভক্ষন করছে। ক্ষুধা আর মৃত্যু গাজাবাসির প্রতিদিনের সঙ্গী। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা আর মৃত্যু আতঙ্কে প্রতি মুহুর্ত ফিলিস্তিনিরা দিন অতিবাহিত করছে। প্রতিটি সকাল শুরু হয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলার মাধ্যমে। অন্তত ৮০ ভাগ ফিলিস্তিনি বাস্তচ্যুত,তাদের বসবাসের আবাস স্থল ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলার মাধ্যমে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। সর্বত্র ধ্বংসস্তুপ আর হাহাকার জীবন মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনিরা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আল জাজিরা টেলিভিশনের ভাষায় বলা যায় প্রতিজন ফিলিস্তিনি একেক একেক জন হামাস। কারন দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিশ্বাসকরে যে ফিলিস্তিনিরাই হামাস আর তাই তো দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী আবারও হিজবুল্লাহর ক্ষেপনাস্ত্র হামলা বিপর্যস্থ। হামলায় বিপর্যস্থ কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানােিয়ছে দখলদার বাহিনী বর্তমান সময়ে হিজবুল্লাহর সাথে বড় ধরনের সহিংসতায় যেতে চাইছে নাকারন হিজবুল্লাহ বর্তমান সময়ে অতি মাত্রায় শক্তিশালী। রক্ষাত্মক ভাবে হিজবুল্লাহর হামলায় উত্তর দিচ্ছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় অন্তত দেড়শতাধীক ফিলিীস্তনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে ইসরাইলি বাহিনী খান ইউনিসে বড় ধরনের গণহত্যা চালিয়েছে তবে হামাসেরপ্রতিরোধ হামলাতেও পড়েছে তারা। উত্তর ও পশ্চিম গাজায় ইসরাইলি বাহিনী এক পরকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে কারনে সাধারন ফিলিস্তিনিরা দলে দলে উত্তর ও পশ্চিম গাজা ত্যাগ করছে। আল জাজিরা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা উত্তর ও পশ্চিমের বসতবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে হত্যা ও গ্রেফতার করছে। মধ্যগাজায়দখলদার বাহিনী বড় ধরনেরপ্রতিরোধের সম্মুখিন। তারা গাজাউপত্যকার নিরাপদ এলাকা (গ্রীন জোন) খ্যাত অঞ্চলেও বারবার হামলঅ চালিয়ে প্রমান করছে যে পুরো গাজা উপত্যকা তাদের হামলার লক্ষ বস্তু। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী হামাসের যুদ্ধ কমান্ডার খ্যাত ইয়াহিয়াকে তন্ন তন্ন করে খুজছে আর তাদের একাজে সহযোগিতা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়অ সহ উর্দ্ধতন হামাস নেতাদেরকে হত্যা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী,ন্যাট্রো এবার ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করে বিশ্ব শান্তীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে তারা আবারও ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। তুরস্কের পক্ষ হতে ঘোষনা দেওয়া হয়েছে যে তারা নিরীহ ফিলিস্তিনিদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। ব্রাজিল এবার সরাসরি ইসরাইলের গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে। ফিলিস্তিনিদেরকে খাদ্য অভাব মৃত্যুমুখে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে ইসরাইল।