সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি অবহিতকরণ সভা মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসন ও শ্রম অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহযোগিতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এ সভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ বলেন, জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ মানব উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে যেতে পারে। কর্মক্ষম ব্যক্তি জীবিকার প্রয়োজনে উপার্জন করতে সক্ষম। তবে প্রবীণ বয়সেও আর্থিকভাবে সচ্ছল ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনের প্রত্যাশা যারা করেন, তাদের জন্য এই পেনশন স্কিম একটি উত্তম সমাধান হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পেনশন স্কিম গ্রহীতারা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানদের জন্য বোঝা হয়ে থাকবেন না। এর মাধ্যমে সকল প্রবীণ ব্যক্তিকে আর্থিক নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা সম্ভব হবে। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এ্যান্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম, বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির ও খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষে সংযুক্ত অর্থ বিভাগের উপসচিব মোঃ মাহমুদুল হক পেনশন স্কিম বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন ও সভায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীন প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রত্যয় নামে পাঁচটি স্কিম রয়েছে। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রবাস, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য প্রগতি, অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মীদের জন্য সুরক্ষা, স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সমতা এবং স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের জন্য প্রত্যয় স্কিম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই স্কিমগুলো রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টিযুক্ত ও ঝুঁকিমুক্ত। স্কিমগুলোয় জমাকৃত চাঁদার বিপরীতে আয়কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে এবং মাসিক পেনশন হিসেবে প্রাপ্য অর্থ আয়করমুক্ত থাকবে।-তথ্য বিবরণী