দৃষ্টিপাত ডেস্ক॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদের উপর নির্মম নির্যাতন সহ গণহত্যা পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। গত কয়েক দিন যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী পুরো গাজা উপত্যকায় বিরামহীন ভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা দৃশ্যতঃ সাধারন ফিলিস্তিনিদের উপর এমন ভাবে হামলা ও হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে যে তাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য গোটা ফিলিস্তিনিদের কে জাতি হিসেবে পুরোপুরি নিশ্চিহৃ করা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা কেবল হামলা বা হত্যা করছে তা নয়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত হামাস সদস্যদের দ্বারাও হামলার শিকার হচ্ছে। দখলদার বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিন গাজায় হামাস যোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে এবং হামাস যোদ্ধাদের হামলায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর তিনটি মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে। ইসরাইলি নামক রাষ্ট্রের গর্বের আর মর্যাদার প্রতিক হিসেবে বিবেচিত এই মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা ইসরাইলি বাহিনীর জন্য চরম মর্যাদাহানীর ঘটনা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য গাজার প্রতিটি দিন শুরু হচ্ছে অজানা আশঙ্কায়। পুরো গাজা উপত্যকা জুড়ে হামাস সদস্যরা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর উপর ব্যাপক ভাবে হামলা শুরু করে চলেছে। এদিকে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সাথে কোন ধরনের যুদ্ধ বিরতি আলোচনায় বসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে হামাস যোদ্ধারা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী প্রধান এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আবারও জানান দিলো গাজা যুদ্ধ তখনই শেষ হবে যখন ইসরাইলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সফল হবে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য মুর্তিমান আতঙ্ক হামাস নেতা গাইফ। গাজায় লড়াইরত হামাস যোদ্ধাদেরকে সাথে নিয়ে যুদ্ধরত মুহাম্মদ গাইফ যে হত্যা করার জন্য অতি তৎপর দখলদার বাহিনী। আল জাজিরা জানিয়েছে খান ইউনিসে অতি সম্প্রতি এবং বর্তমান সময় গুলো দখলদার ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা পরিচালনা করছে তার অন্যতম লক্ষ্য মোহাম্মদ গাইফের অবস্থানে হামলা। দখলদার বাহিনীর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে তারা মোহাম্মদ গাইফ কে হত্যা করতে ব্যর্থ হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্যবস্তু অপর হামাস নেতা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, এই দুই নেতাই হামাস সদস্যদেরকে সুসংগঠিত ও তাদের নিয়ে যুদ্ধরত। গত দুই দশক যাবৎ গাইফ ও ইয়াহিয়া দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই। গত সাত অক্টোবর দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামাসের নেতৃত্বে যে ভয়াবহ হামলা ও ইহুদি ও ইসরাইলি সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের অপহরন করা হয় তা গাইফ ও ইয়াহিয়ার নেতৃত্বেই হয় এমনটি ধারনা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর। গতকাল পর্যন্ত ৩৮ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এবং গত চব্বিশ ঘন্টায় দেড় শতাধীক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে দখলদার বাহিনীর সদস্যরা। গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে হামলার পর ইসরাইলি বাহিনী গাজায় আন্তর্জাতিক ত্রান বিতরন ভবনে হামলা চালিয়েছে এবং ইউএনআরডব্লিউ ভবনটিতে আশ্রয় নেওয়া শতাধীক ফিলিস্তিনি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় খান ইউনিস এলাকা মৃত্যুপুরীতে পরিনত হলেও সেখানে অবস্থান রত দখলদার বাহিনীর সদস্যদের উপর হামাস সদস্যরা ব্যাপক ভিত্তিক হামলা পরিচালনা করে চলেছে। পশ্চিমা মিডিয়া, এএফপি ও আল জাজিরা সবগুলো মিডিয়া জানাচ্ছে যে গাজায় হামাস যোদ্ধারা তাদের শক্তিতে পরিপূর্ণ তাদের সামরিক শক্তি অক্ষত। দখলদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধে মোকাবিলা করার মত যথেষ্ট শক্তিতাদের বিদ্যমান। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা আবারও ব্যাপক ভাবে বিমান হামলা চালিয়ে উত্তর ও পশ্চিম গাজার জনজীবনকে মৃত্যুর মুখে নিক্ষেপ করেছে। গাজা যুদ্ধ এবং যুদ্ধ বিরতি বিষয়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও ইসরাইলের গোয়েন্দা প্রধান (আসাদ) এর প্রধান পদত্যাগ করেছে। আর এই পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যে গাজাযুদ্ধে সঠিক অবস্থানে নেই তা আবারও প্রমান করলো। দেশটির সেনা প্রধান সহ উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে অবিরাম সমালোচনাকরে চলেছে। হামাস এর সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড এর মুখপাত্র আবু ওবায়াদা আবারও ঘোষনা দিয়েছে যে, তারা (হামাস) আর কোন অবস্থাতেই দখলদার ইসরাইলি সাথে কোন ধরনের যুদ্ধ বিরতি আলোচনা করবে না। রাফা শহরে দখলদার বাহিনী ভাল নেই শহরটিতে হামাস যোদ্ধারা প্রকাশ্যে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চলেছে।