দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় নির্বিচারে বিমান হামলা পরিচালনার মাধ্যমে গনহত্যা করেই চলেছে। বিশ্ব বিবেক পাষন্ড ইসরাইলির বর্বরতাকে প্রতিরোধ না করে বিশ্ব মোড়লের দাবীদার দখলদার ইসরাইলকে সমর্থন করে চলেছে এখানেই শেষ নয় দখলদার ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের গনহত্যাকে ত্বরান্বীত করছে। গাজা দৃশ্যতঃ মৃত্যু উপত্যকার এক বিভিষিকাময় উপত্যকা, দখলদার ইসরাইলি সেনা গাজা উপত্যকায় প্রতিদিনই নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিদেরকে হত্যা করে চলেছে। তাদের নির্বিচারে বিমান হামলায় হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিশেষ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য গাজায় অধিবাসি ফিলিস্তিনিদেরকে নিশ্চিহ্ন করা। আর একারনে পাষন্ড বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের মূল লক্ষ বস্তু নারী ও শিশুরা। ফিলিস্তিনিদের বংশবৃদ্ধিবিস্তার রোধে মহিলাদের হত্যা কান্ডের ঠিকানা নেই এমনটি মনে করেন দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। গতকালও দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ৮০জন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে, মধ্যগাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত একটি স্কুলে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করলে ঘটনাস্থলেই ৮০ শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় এবং আহত হয়েছে অন্তত শতাধীক শিক্ষার্থী। ইসরাইলি বাহিনীর জন্য বর্তমান সময়ে ইরানযেন আতঙ্কিত এবং ভিতিকর নাম অনুরুপভাবে হিজবুল−াহ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর জন্য আতঙ্ক বয়ে আনছে। হিজবুল−াহ প্রধান হাসান নাজরুল−াহর নির্দেশে হিজবুল−াহ যোদ্ধারা ইসরাইলের ভূ-খন্ডে বড় ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র ও রকেট হামলা পরিচালনা করেছে। হিজবুল−াহর হামলার ঘটনায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা সাইরেন বাজাতে থাকে। হিজবুল−াহর পাশাপাশি হুতি যোদ্ধারাও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিন ক্ষেপনাস্ত্রের হামলা ঘটিয়েছে। উলে−খ্য দীর্ঘদিন যাবৎ হুতি যোদ্ধারা সাগরে ইসরাইল এর ও ইসরাইল গামী জাহাজে হামলা পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ইরাকের সম্ভাব্য হামলাকে প্রতিরোধ ও মোকাবিলা করতে নিজের সামরিক ঘাঁটি গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করনের লক্ষে কাজ করছে। এদিকে ইরান যে কোন সময়ে ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা করবে আর যে বিষয়ে ইরানের কমান্ডারগন একের পর এক বৈঠক করে চলেছে। ইরান ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনায় তার মিত্রদেরকে সঙ্গী করতে চাইছে। আল জাজিরা টেলিভিশনের পক্ষ হতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইরাক এবং সিরিয়া থেকেও ইরান ইসরাইলে হামলা করতে চায় আর এ জন্য ইরান তার মিত্র ও প্রতিবেশী দেশ গুলোকে হামলায় সংযুক্ত করতে চাইছে ইতিমধ্যে মিত্রদের প্রতিশ্র“তি পেয়েছে। এদিকে ইসরাইল ইরান ও হিজবুল−াহর সম্ভাব্য হামলা হতে নিজেদের নাগরিকদেরকে রক্ষা করতে সীমান্ত গ্রামগুলো হতে নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে। এবং ইতিমধ্যে অধিবাসিদের উলে−খযোগ্য সংখ্যককে ইসরাইল তাদের সামরিক ঘাঁটিতে নিয়েছে। ইসরাইলের আকাশে যাত্রীবাহী কোন বিমান চলাচল করছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটি গুলো নিরাপত্তা হীনতায়। ইরান ঘোষনা দিয়েছে তারা মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘঁাঁটি সমুহে হামলা পরিচালনা করবে এবং উক্ত সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে মার্কিন ঘাঁটিতে অবস্থানকরা সেনারা প্রস্তুতি নিচ্ছে সেই সাথে তাদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের সেনাদেরকে সম্মুখ যুদ্ধে প্রতিহত করার পাশাপাশি চোরাগুপ্ত হামলায় নিয়োজিত আছে উলে−খযোগ্য সংখ্যক হামাস যোদ্ধা। এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড এর সুখপাত্র আবু ওরায়দা এক বিবৃতিতে ইসরাইল ও তার মিত্রদেরকে কঠোর ভাবে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে অবশ্য ইসরাইল ও তার মিত্রদের উপর হামাস হামলা পরিচালনা করবে এবং তার ভয়াবহতা সাত অক্টোবর অপেক্ষা ভয়ানক হবে।