দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক হীনতার বিষয়টি নতুন নয়। যুগ হতে যুগান্তর দেশ দু’টির সাথে সম্পর্ক সাপে নেউলের পর্যায়ে। হঠাৎ করে গত দশ মাস যাবৎ সাপে নেউলের সম্পর্ক দৃশ্যতঃ যুদ্ধাবস্থায় পৌছেছে। প্রথমত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক হীনতার কারন ছিল ইরানের পারমানবিক চুক্তি বাতিল বিষয়ক কর্মসূতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমানবিক ক্ষমতার অধিকারী। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত খবরাখবরে বলা হয়েছে ইরানের রাজধানী তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে গুপ্ত হত্যা চালায় দখলদার ইসরাইল। বিষয়টি কেবল হামাস নেতাকে হত্যা ক্ষেত্র নয় দৃশ্যতঃ ইরানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে আঘাত করা। ঘটনার পর পরই ইরানের পক্ষ থেকে ইসরাইলে হামলার ঘোষনা দেওয়া হয় এবং ইরান ইসরাইলে হামলার প্রস্তুতি দিতে থাকে। দেশটির সর্বচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তুল−াহ আল খোমেনী ইরানের প্রেসিডেন্ট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং কমান্ডারদের সাথে বৈঠক করে অবিলম্বে হামলার নির্দেশ দিলে তখন ইরান কর্তৃক হামলার মুহুর্ত সৃষ্টি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের উপর হামলা চালালে ইরানের উপর হামলার হুমকি প্রদর্শন করে একই সাথে ইসরাইলকে রক্ষা করতে ও ইসরাইলের হামলা প্রতিরোধ করনে যুদ্ধ জাহাজ সহ যুদ্ধ বিমান সরবরাহ করে যেকারনে ইরান তাৎক্ষনিক ভাবে ইসরাইলে সামরিক হামলা হতে বিরত থাকে। তবে বাস্তবতা হলো ইরান ইসরাইলে হামলা হতে পিছিয়ে আসেনি হয়ত একটু সময় ক্ষেপন হচ্ছে। যে কোন সময়ে হামলা করতে পারে। পশ্চিমা মিডিয়া রয়টার্স সহ এএফপির খবরে বলা হয়েছে ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকিতে ইরান বসে থাকবে না অবশ্যই ইরান ইসরাইলের উপর হামলা পরিচালনা করবে। কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ভূ-রাজনীতিতে ইরান মার্কিন লোবীতে নেই ইরান রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত।