দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর নির্মমতা আর নিষ্ঠুরতা ইতিহাসের শেষ অধ্যায়কে অতিক্রম করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী নৃসংসতার বর্ণনা দেওয়ার সক্ষমতা নেই। প্রতিদিনই তার নিরীহ ও নিরস্ত্র ইসরাইলিদের উপর নির্বিচারে বিমান হামলা পরিচালনা করে হত্যা করছে। দখলদার বাহিনীর হত্যাকান্ডের শিকার কেবল পুরুষ ফিলিস্তিনিরা নয়, হাজার হাজার নারী ও শিশুরা দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে নির্মম ভাবে নিহত হচ্ছে। গাজা বর্তমান সময়ে কবরের উপত্যকায় পরিনত হয়েছে। গাজা ভূ-খন্ডের সর্বত্র কবর আর কবর। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করতে সামান্যতম কৃপনতা করছে না আর যে কারনে গাজায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে লাশের উপস্থিতি। এমন কোন দিন নেই, যে দিন দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করছে না। গাজায় কেবল দৃশ্যমান কবরের সারিসারি লাইন তাইনয় গাজায় অগনিত গনকবরের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গাজার সর্বত্র কবর আর কবর। উপত্যকাটির অতিপরিচিত এবং ঐতিয্যের ধারক হিসেবে পরিচিত আল সিফা হাসপাতাল কমপে−ক্স এলাকাতে বিপুল সংখ্যক কবর এবং একই সাথে গন কবরের অস্তিত্ব অনুভুত হয়েছে। গাজায় নয় গাজা উপত্যকায় হত্যা বা কবরের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে তা নয় গাজা উপত্যকায় শত সহস্র শিশুর কবরের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে। জাতিসংঘ ইতিমধ্যে বলেছে গাজা শিশু হত্যার নগরীতে পরিনত হয়েছে। গাজা সিটির সর্বত্র হত্যার যে মহাউৎসব চলছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হামাস সদস্যরা উপত্যকাটির সর্বত্র দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ হামলা গড়ে তুলছে। এদিকে গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মাঝে তীব্র হতে তীব্রতর সহিংসতা চলছে। হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড আবারও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানাচ্ছেযে, দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরে কাসেম ব্রিগেড ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে। এ সময়ে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সাইরেন বাঁজতে দেখা যায়। কাসেম ব্রিগেডের সদস্যরা মুহুর মুহুর চালানো রকেট রাজধানী তেল আবিবের মাটি স্পর্শ করেছে। এদিকে হামাস প্রধান ইয়াহিয়া ঘোষনা দিয়েছে যে আমাদের প্রিয় নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ গ্রহন করবোই। যথা সময়ে ইসরাইলকে জবাব দেওয়া হবে। হিজবুল−াহ আবারও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে উক্ত ক্ষেপনাস্ত্র হামলার আঘাতে ইসরাইলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিজবুল−াহ প্রধান হামাস নাসরুল−াহ বলেছে আগামী দিনগুলোতে ইসরাইলকে কারবালার মুখোমুখি করা হবে। দখলদার ইসরাইলকে পৃথিবীর মানচিত্র হতে মুছে দেওয়া হবে। হিজবুল−াহর ক্ষেপনাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে দখলদার বাহিনী। ইসরাইল হিজবুল−াহর সদস্যদেরকে লক্ষ করে লেবাননে পাল্টা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। গাজার বর্তমান সময়ে হামাস কেবল একলা লড়ছে না। হামাসের সাথে যৌথ ভাবে হামলার অংশ নিচ্ছে ইসলামী জেহাদের সদস্যরা। এদিকে ইসরাইলের সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের সুর বেজে উঠেছে যে কোন সময়ে দেশটির সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহের ঘটনা ঘটতে পারে। আল জাজিরা জানিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধরত অবস্থায় এক ধরনের অস্থিরতায় ভুগছে। সেনারা অহেতুক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করতে চাইছে না। এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদেরকে উদ্ধার করতে না পারাটা প্রধানমন্ত্রী নেতা নিয়াহুর ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে। এদিকে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির সভায় সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে যে ইসরাইল অবশ্যই ইরানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করেছে এবং ইরানের রাজধানী তেহরানের একটি বাড়ীতে অবস্থানরত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে। সেই থেকে ইরান ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। যে কোন সময়ে ইরান ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা পরিচালনা করতে পারে। ইরানের হামলার আশঙ্কায় বর্তমান সময় গুলোতে ইসরাইলের অভ্যন্তর ভাগে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। ইসরাইল তার সেনা ঘাঁটি গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আহবান প্রত্যাখান করেছে কাতার ও মিশর। ইসরাইল সেনারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাফা ক্রসিং দখলে রাখলেও বর্তমান সময়গুলোতে রাফা ক্রসিং হামাস যোদ্ধাদের দখলে যে কারনে রাফা ক্রসিং দিয়ে পন্য সামগ্রী আসা যাওয়া করছে।