দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজা উপত্যকায় হামলার তীব্রতা ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে চলেছে। প্রতিদিনই অগনিত ফিলিস্তিনি নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। এমন কোন দিন নেই এমন কোন সময় নেই, যে দিন বা সময়ে ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের উপর বিমান হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে না। ইতিমধ্যে ৪০ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এবং নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উলে−খযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা অতিপরিকল্পিত ভাবে ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করছে কারন নারীদেরকে হত্যা করলে ফিলিস্থিনি বংশ বিস্তর এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না, অন্যদিকে শিশুদেরকে হত্যা করলে কোন অবস্থাতেই আগামী প্রজন্ম অগ্রসর হবে না। ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদেরকে হত্যা করেই নিরাপদ বা নিশ্চুপ থাকছে না অন্যান্য পন্থা অবলম্বন করে হত্যা কান্ড পরিচালনা করে চলেছে। খাদ্য ঘাটতি তথা ত্রান বিতরনে বাঁধা, গাজায় ত্রান প্রবেশে বাঁধা, আহত ও অসুস্থ ফিলিস্তিনিদেরকে চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত রাখা, কোন কোন সময় কারাগারে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা। দখলদার বাহিনী দৃশ্যতঃ ইতিহাস খ্যাত পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের অধিবাসি ফিলিস্তিনিদের বসবাসের অযোগ্য করে তুলেছে। সমৃদ্ধশালী গাজা ভূ-খন্ড দৃশ্যতঃ শশ্মনের রুপ ধারন করেছে। পৃথিবীর গাজাই একমাত্র জনপদ যে জনপদের অধিবাসিরা বর্তমানে উদ্বাস্তু এবং আশ্রয়হীনতার কবলে। দখলদার বাহিনী নির্বিচারে একের পর এক বসতিতে বিমান হামলা পরিচালনা করে হাজার হাজার বসতবাড়ী তথা দিনরাত যাপনের আশ্রয়স্থল ধ্বংস করেছে। ফিলিস্তিনিরা বাসস্থান হারিয়ে আশ্রয় শিবিরে বসবাস করছে অথবা ফুটবল মাঠে, ফাঁকা স্থানে রাত যাপন করছে কিন্তু আশ্রয় শিবির গুলোতেও নিরাপদনয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর কারনে ফিলিস্তিনিরা। ফিলিস্তিনিদের হত্যা যেন তাদের দৈনন্দিন কর্মযজ্ঞে পরিনত হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের তথ্যঅনুসারে বলা যায় ফিলিস্তিনিদের আবাসস্থলের অন্ততঃ ৮০ ভাগ বসতবাড়ী ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আশ্রয়হীন ফিলিস্তিনিরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইতিমধ্যে ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকার পরিবেশ অমানবিক হয়ে পড়েছে। সেখানে অতীতের যে কোন সময় অপেক্ষা মানবেতর জীবন যাপনে গাজা বাসি। এদিকে হামাস ইসরাইলের মাঝে আবারও যুদ্ধ বিরতি আলোচনার সূত্রপাত ঘটাতে যাচ্ছে কাতার ও মিশর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে কাতার ও মিশর হামাস, ইসরাইলে মাঝে যুদ্ধ বিরতির বিষয়ে আলোচনা শুরু করুক। যতই দিন যাচ্ছে ততোই ইসরাইলের পক্ষে যুদ্ধ বিরতির ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে। হামাস ইতিমধ্যে ঘোষনা দিয়েছে যে, হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি আলোচনার বিষয়ে হামাস স্পষ্ট ভাবেই জানিয়েছে প্রথমত দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে গাজায় বিমান হামলা পরিচালনা বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত গাজায় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ইসরাইলি বাহিনী আবারও ঐতিহাসিক খান ইউনিসে হামলা পরিচালনা শুরু করেছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা পশ্চিম গাজায় ইহুদী বসতি স্থাপন শুরু করেছে। আল জাজিরা টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে গাজার পথে পথে লাশের উপস্থিতি গাজার স্বাভাবিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। গাজার বিভিন্ন এলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদ্যরা ফিলিস্তিনিদের মাঝে ত্রান বিতরনে বাঁধা প্রদান করে যাচ্ছে। হিজবুল−াহর পক্ষ হতে ইসরাইলকে পুনরায় হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলা হয়েছে ইসরাইলের জন্য আগামী দিনগুলোতে করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে। হুতি যোদ্ধারা সাগরে আবারও ইসরাইলের জাহাজে হামলা পরিচালনা করছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনী রাফা শহরে হামাস কর্তৃক অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।