হত্যাকান্ডের নির্মম বলি হচ্ছে নারী ও শিশু ॥ ইসরাইলে হিজবুল−াহর রকেট হামলা ॥ পাল্টা বিমান হামলা ইসরাইলের ॥ হামাসের হাতে বন্দীদের উদ্ধারে ব্যর্থ ইসরাইল ॥ গাজা বিভিন্ন এলাকাতে হামাস ইসরাইল সংঘাতে ॥ পশ্চিমা এলাকায় হামাসের প্রতিরোধ হামলা ॥ ইসরাইলের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ ॥ নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবী ॥ ইসরাইলের কারাগারে বন্দী নির্যাতনের অভিযোগ ॥ হামাস প্রধান ইয়াহিয়ার আহবান ॥ প্রতিরোধ করুন দখলদারদের ॥ ফিলিস্তিনি যুবকরা দলে দলে যোগ দিচ্ছে হামাসে ॥ নারী সদস্য ও বাড়ছে ॥ কাতার, মিশর, আবারও যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় ॥ হামাসের শর্ত আগে হামলা বন্ধ করতে হবে ॥ চব্বিশ ঘন্টায় নিহত দেড়শতাধীক
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গাজায় নির্বিচারে গনহত্যা মেতেছে। ঐতিহাসিক গাজা উপত্যকার সর্বত্র দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা কেবল মাত্র পুরুষ ফিলিস্তিনিরা বা বসতবাড়ী ধ্বংস হচ্ছে তা নয় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যদের হামলায় নিহত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। গত দশ মাসের অধিক সময় যাবৎ দখলদার বাহিনী প্রতিনিয়ত ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে চলেছে কিন্তু গত কয়েকদিন যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্য হামলার তীব্রতা এতটুকু বৃদ্ধি করেছে যে গনহত্যা অপেক্ষা যদি কিছু থাকতো তাহলে সেটাই। গাজার এমন কোন এলাকা নেই যে এলাকা গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সদস্যরা গনহত্যা পরিচালনা করছে না। কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা টেলিভিশন জানিয়েছে গাজা বর্তমান সময়ে এমন এক মৃত্যু পুরীতে পরিনত হয়েছে যে মৃত্যু পুরীর ইতিবৃত্ত পৃথিবীর কোথাও হইনি। প্রতিটি এলাকাতে প্রতিটি প্রান্তরে নির্মম ভাবে নিহত ফিলিস্তিনিদের লাশ এবং কবর। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় কবরস্থান ও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে অতি সম্প্রতি গাজার বিভিন্ন এলাকাতে গনকবরের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে হিজবুল−াহ প্রধান হাসান নাসরুল−াহ হুশিয়ারী ও প্রতিশ্র“তি প্রদানা করে যে ইসরাইলের ভূ-খন্ডে আবারও হামলা পরিচালনা করে হাসান নসরুল−াহর প্রতিশ্র“তি মোতাবেক হিজবুল−াহ গাজায় ব্যাপক ভিত্তিক রকেট হামলা পরিচালনা করে দখলদার ইসরাইলের ভূ-খন্ডে হিজবুল−াহর রকেট হামলার পর পুরো ইসরাইল জুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সীমান্ত এলাকার গ্রাম গুলোতে রকেট হামলার কল্যানে কয়েকজন ইসরাইলি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। হিজবুল−াহর রকেট হামলায় পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইসরাইল লেবাননে হিজবুল−াহ যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বিমান হামলা পরিচালনা করে। এদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম এলাকাতে ইহুদী বসতির বিরুদ্ধে সাধারন ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভে ইসরাইলি সেনারা গুলি বর্ষন করলে হামাস সদস্যরা পাল্টা হামলা পরিচালনা করে এবং ইসরাইলের সেনাদের সাথে হামাস সদ্যদের মুখোমুখি সহিংসতা ঘটনা ঘটে। এদিকে আবারও ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে ইহুদীরা বিক্ষোভ করেছে। ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিব সহ অপরাপর শহরগুলো বিক্ষোভের নগরীতে পরিনত হয়েছে। হামাসের হাতে আটক ইসরাইলিদেরকে মুক্ত করতে না পারায় ব্যর্থতার প্রধান মন্ত্রী নেতা নিয়াহুর পদত্যাগের দাবীতে উক্ত বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। দখলদার ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনের পাশাপাশি নারী বন্দীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস। এদিকে হামাসের শর্ত যুদ্ধ বিরতি আলোচনা শুরুর পূর্বে ইসরাইলকে হামলা ও গনহত্যা বন্ধ করতে হবে এমন শর্তে রাজি হওয়ায় কাতার ও মিশর এবার যুদ্ধ বিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে অগ্রসর হচ্ছে। এদিকে ফিলিস্তিনিরা বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে দলে দলে হামাসে যোগ দেওয়ার খবর প্রকাশ করছে আল জাজিরা।