শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে খোলপেটুয়া নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে বালু উত্তোলন করায় এসিল্যান্ড কর্তৃক বালু উত্তোলনের আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ভাঙচুর ও জব্দ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শহীদুলাহ শ্যামনগর থানার সঙ্গীয় ফোর্স এবং আটুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। উলেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কলবাড়ী টু নওয়াঁবেকী প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত বাবলা সাহেবের হ্যাচারী (তুফান কোং) সংলগ্ন একরামুল হাজী ও জনৈক অবৈধ বালু ব্যবসায়ী গং দের লোনা বালুর ডিপো তে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন কর্তৃক পূর্বেই নিষিদ্ধ নওয়াঁবেকী বাজারের পাশে খোলপেটুয়া নদী থেকে ৩/৪ টা কাঠের নৌকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করেছে। বড়কুপট গ্রামের আঃ রহিম, আঃ মজিদ, রবিউল খোকন ও আবুল হাসান। এই মর্মে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি মৌখিক অভিযোগ পান। এরপর শুক্রবার রাতেও একইভাবে বালু উত্তোলন হওয়ার পর শনিবার দুপুরে তিনি সরেজমিনে পরিদর্শনে ক্রমে অভিযোগের সত্যতা পান। সাথে সাথেই উক্ত বালু উত্তোলন করার আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি কুপিয়ে ভাঙচুর এবং অন্যান্য মালামাল জব্দ করে তার দপ্তরে নিয়ে যান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন , বুড়িগোয়ালিনী নৌ থানার কতিপয় কর্মকর্তাগণকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে অত্র বালু ব্যবসায়ীরা শ্যামনগরের চৌদ্দরশি, খোলপেটুয়া, জেলিয়াখালি সহ বিভিন্ন অঞ্চলে জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিষিদ্ধ নদীর চর থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে সহায়তা প্রদান করেন। যা আমাদের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ এবং পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ। নিষিদ্ধ ঘোষিত নদীর চর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন এবং শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।