দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ ইসরাইল কর্তৃক নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর গনহত্যা, আফগানিস্থানের তালেবান শাসন ব্যবস্থা, ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর কোরিয়া সহ নানাবিধ বিষয় ব্যাপক ভাবে আলোচিত ঘটনাসমূহের মাঝে বিশেষ ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে থাইল্যান্ড এর রাজনীতি। হঠাৎ করেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে দেশটির এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাগারে থাকা থাকসিন সিনাওয়াত্রা। তিনি প্যারোলে সাজা ভোগ করছিলেন বর্তমানে মুক্ত এবং তার মুক্তি পাওয়ার ঘনঘটায় তার কন্যা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। দেশটির পার্লামেন্ট থাকসিন কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন। গতকাল রবিবার আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে প্রকাশিত খবরাখবরে বলা হয়েছে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা এবং দেশে ফিরে আদালত কর্তৃক দেওয়া দ্বন্ড ভোগ করা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন কন্যা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি কারাগার থেকে রাজকীয় ক্ষমা ঘোষনার মাধ্যমে মুক্তিলাভ করেছে। দীর্ঘ দুই দশক যাবৎ থাকসিন পরিবার থাইল্যান্ডের রাজনীতি তথা ক্ষমতা ভোগ করে আসছিলেন কিন্তু বাস্তবতা হলো বিরোধীদের বিক্ষোভ এবং সেনা বাহিনীর সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রী থাকসিনকে পদত্যাগ করতে হয়। কারাগারের পরিবর্তে তিনি নির্বাসনে চলে যান। থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে থাকসিন পরিবারের ব্যাপক প্রভাব থাকায় নির্বাচনে তার দল মোটামুটি ভাল ফলাফল করে কিন্তু সেনাবাহিনীর একটি অংশের বিরোধিতার কারনে থাকসিনের দলের হয়ে তার কন্যা পেতাংতার্ন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেনি, দেশটির সংশদীয় সরকার ব্যবস্থায় এবং ছন্দ পতনের মাধ্যমে দেশটির সরকার সংসদে আস্থা হারালে থাকসিন কন্যা পেতাংতার্ন সংখ্যাগরিষ্ট সদস্যদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিন হন। বারবার দেশটির রাজনীতিতে আলোচিত নাম সেনাবাহিনী, থাইল্যান্ডের রাজনীতি, সরকার অর্থনীতি এমনকি বৈদেশিক নীতি নির্ধারনের ক্ষেত্রে দেশটির সেনাবাহিনী অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।