ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় হার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করলো সফরকারী বাংলাদেশ। গত মঙ্গলবার শেষ হওয়া ম্যাচের পঞ্চম দিনে সিরিজের প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২০১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের কাছে রান বিবেচনায় তৃতীয় বড় হার টাইগারদের। এই নিয়ে তৃতীয়বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২শ বা তার বেশি ব্যবধানে টেস্ট হারলো টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১বারের মোকাবেলায় ১৫তম হার বাংলাদেশের। বাকী টেস্টের মধ্যে ৪টিতে জয় ও ২টিতে ড্র করেছে টাইগাররা। এন্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট জয়ের জন্য ৩৩৪ রানের টার্গেট পেয়েছিলো বাংলাদেশ। জবাবে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেটে ১০৯ রান করেছিলো টাইগাররা। ফলে ম্যাচ জিততে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিন আরও ২২৫ রান করতে হতো বাংলাদেশকে। টেস্টের শেষ দিনের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার আলজারি জোসেফের শিকার হন হাসান মাহমুদ। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটরক্ষক জশুয়া ডা সিলভাকে ক্যাচ দেন ১২ বল খেলা হাসান। এক প্রান্ত আগলে লড়াই করার চেষ্টা করেন আগের দিন ১৫ রানে অপরাজিত থাকা জাকের আলি। ৩৭তম ওভারের চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফের বলে লেগ বিফোর হন জাকের। রিভিউ নিয়েও সুফল হয়নি কোন। ৫টি চারে ৩১ রান করেন জাকের। জাকেরের বিদায়ে ক্রিজে তাসকিনের সঙ্গী হন শরিফুল ইসলাম। ৪ বল খেলার পর আহত অবসর নেন শরিফুল। ব্যাটিংয়ে নামার পরই আলজারির বাউন্সারে কাঁধে আঘাত পান তিনি। ফলে ৯ উইকেটে ১৩২ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। পঞ্চম ও শেষ দিন ৩৯ মিনিট স্থায়ী হয় বাংলাদেশের ইনিংস। মাত্র ৭ ওভার খেলে ২৩ রান যোগ করে টাইগাররা। কেমার রোচ ও জেইডেন সিলেস ৩টি করে এবং আলজারি ২টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরা হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাস্টিন গ্রেভস। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৯ উইকেটে ৪৫০ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান করেছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে।