দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ সুন্দরবন অনন্য অসাধারণ সৌন্দর্য আর সম্পদের লীলাভূমি। বিশ্বের দেশে দেশে আলোচিত এবং আলোকিত আমাদের প্রিয় সুন্দরবন। প্রকৃতির অপরুপ নয়নাভিরাম আর আলোর দ্যুতি ছড়ানো এই সুন্দরবন দেশকে বারবার দেশের উপকূলীয় জনপদকে বার বার প্রাকৃতিক হিংস্রতা থেকে রক্ষা করে চলেছে। প্রিয় সুন্দরবন কেবল উপকূলীয়বাসিকে রক্ষা করে চলেছে তা নয়, প্রতিবছর দেশের অভ্যন্তরীন রাজস্ব উপার্জনের মহাক্ষেত্র হিসেবে নিজেকে সম্মুখপানে আনছে। দেশ বিদেশ থেকে অগনিত পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণে আসছে। সাতক্ষীরাই একমাত্র জেলা যে জেলা হতে সড়ক পথে সরাসরি সুন্দরবন ভ্রমণ সম্ভব। সুন্দরবনকে অধিকতর সৌন্দর্যময় এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করণের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরে উলে¬খযোগ্য সংখ্যক পর্যটন স্পট নির্মাণ করেছে বন বিভাগ। বন অঞ্চলের কটকা সমুদ্র সৈকত এমনই এক অনন্য সুন্দর এবং রোমাঞ্চকর স্পট। যা ভ্রমণ পিপাষুদের তৃষ্ণা, কৌতুহল এবং সব ধরনের বন ভ্রমনের শখ এবং স্বাদ মিটানোর মহাক্ষেত্র। সুন্দরবন দৃশ্যত কয়েকটি রেঞ্জে বিভক্ত। কটকা সমুদ্র সৈকত খুলনা রেঞ্জে অবস্থিত। মংলা সমুদ্র সদর থেকে ৯০ কিলোমিটার দুরবির্ত এলাকায় অবস্থিত কটকা সমুদ্র সৈকত সুন্দরবনের দক্ষিণ পূর্ব কোনে অবস্থিত। সমুদ্র যখন উত্তাল হয় এবং জেলার শুরু হয় তখন কটকা যেন আগ্রাসী হয়ে ওঠে তবে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য বিপদের কারণ হয় না। কটকা সমুদ্র সৈকতেও পর্যবেক্ষণ টাওয়ারের অস্তিত্ব বিদ্যমান। ৪০ ফুট উচ্চতার চার তলা বিশিষ্ট টাওয়ারটিতে উঠে অনায়াসে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের দৃশ্য অবলোকন করা সম্ভব এবং পর্যটকরা তা করে থাকেন। কটকা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন টাওয়ারে আহরন করে অতি সুন্দরভাবে বন অভ্যন্তরে ঘুরে বেড়ানো বাঘ, হরিণ, বানর, শুকর, মৌমাছির চাক বন অভ্যন্তরের ছোট ছোট খাল এবং নানান ধরনের পাখি, সাপ, কুমিরের অস্তিত্ব অবস্থান ও চলাফেরা প্রত্যক্ষ করেন ভ্রমণকারীরা। মাঝে মাঝে অতি সাহসী ও কৌতুহলী পর্যটকরা কটকা সমুদ্রসৈকতে বিপদজনক। এক দশক পূর্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীকে কটকা সমুদ্র সৈকতের স্রোত ঘায়েল করলে কয়েকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। সবকিছু মিলে কটকা সমুদ্র সৈকত দর্শন অসাধারণ রোমাঞ্চকর অনুভূতি।