সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৭:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
শান্তি আলোচনার পর ইউক্রেনে বৃহত্তম ড্রোন হামলা চালালো রাশিয়া সিরিয়ায় পুনরায় কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মন্তব্য, ভারতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক গ্রেফতার সৌদি আরবে অবৈধদের ধরতে অভিযান, গ্রেফতার ১৫ হাজার হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে ভবনে আগুন, শিশুসহ নিহত ১৭ যে কারণে ব্যর্থ হলো ভারতের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য আকাশসীমা আরও এক মাস বন্ধ রাখবে পাকিস্তান: রিপোর্ট ইরানে শিয়া মাজারে হামলার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ—মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহ টর্নেডোয় ২৭ জনের প্রাণহানি যে কারণে পেনাল্টি নেননি হালান্ড

বিরোধপূর্ণ দ্বীপের কাছে চীনা জাহাজের উপস্থিতি

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪

এফএনএস বিদেশ : দক্ষিণ চীন সাগরে ফিলিপাইনের গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি থিটু দ্বীপের কাছে চীনা বেসামরিক জাহাজের সংখ্যা বেড়েছে। তবে দেশটির নৌবাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এতে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত স্যাটেলাইট চিত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। ফিলিপাইনের পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল আলফোনসো টোরেস বলেছেন, জাহাজগুলোর এখানে আসা স্বাভাবিক। ম্যানিলা, পেন্টাগন ও বিদেশি কূটনীতিকরা মনে করেন, এসব জাহাজ চীনের কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বেইজিংয়ের উপস্থিতি শক্তিশালী করার কাজ করে। গত সোমবার ম্যাক্সার টেকনোলজিসের তোলা ছবিতে প্রায় ৬০টি জাহাজ দেখা গেছে। এর মধ্যে কিছু থিটু দ্বীপ থেকে মাত্র দুই নটিক্যাল মাইল দূরে। ফিলিপাইনে পাগ—আসা নামে পরিচিত দ্বীপটি দক্ষিণ চীন সাগরের একটি কৌশলগত স্থান। এখান থেকে চীনা জাহাজ ও বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ম্যানিলা। ফিলিপাইন নৌবাহিনীর দক্ষিণ চীন সাগর বিষয়ক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল রয় ত্রিনিদাদ বলেছেন, আমরা জাহাজগুলোর বিষয়ে অবগত আছি। এগুলোকে অবৈধ উপস্থিতি বলা যায়। তবে এতে উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি আরও বলেছেন, প্রতিটি বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানো জরুরি নয়। আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজেদের অবস্থান বজায় রাখা। অনলাইনে জাহাজ ট্র্যাকিং সাইটগুলোতে দেখা গেছে, স্যাটেলাইট ছবিতে থাকা অধিকাংশই চীনে নিবন্ধিত মৎস্য জাহাজ। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধ করে সাড়া পায়নি রয়টার্স। থিটু দ্বীপ ফিলিপাইনের বৃহত্তম ও কৌশলগতভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ। দক্ষিণ চীন সাগরের এই অঞ্চলটি মূলত চীনের দাবি করা এলাকা হলেও প্রতি বছর বিলিয়ন ডলারের পণ্য পরিবহনের জন্য স্থানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৬ সালে হেগের স্থায়ী সালিশি আদালত রায় দিয়েছিল যে, দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকার নিয়ে বেইজিংয়ের দাবির আন্তর্জাতিক আইনগত ভিত্তি নেই। সা¤প্রতিক মাসগুলোতে স্কারবরো আইল্যান্ডস ও সেকেন্ড থমাস শোলসের কাছে চীনা কোস্টগার্ড ও মৎস্য জাহাজ এবং ফিলিপাইনের জাহাজগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। থিটু দ্বীপ চীনের সুবি রিফ নৌঘাঁটি ও রানওয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। এই ঘাঁটি কখনও কখনও চীনের জাহাজগুলোর জন্য একটি বন্দরের কাজ করে থাকে। ত্রিনিদাদ বলেন, সুবি থেকে আসা—যাওয়ার পথে পাগ—আসার সীমানার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এ অঞ্চলে চীনা জাহাজগুলোর কার্যক্রম নিয়ে কূটনীতিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা গভীর নজর রাখছেন। চলতি সপ্তাহে চীনা জাহাজগুলোর ট্রান্সপন্ডার চালু ছিল, যা তাদের গতিবিধি নিরীক্ষা করা সহজ করেছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কলিন কোহ মনে করেন, এই ঘটনাটি চীনের ম্যানিলার প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার অংশ হতে পারে। বিশেষত দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ম্যানিলার অবস্থা যাচাইয়ের সুযোগটা হয়তো হাতছাড়া করতে চায়নি বেইজিং। ফিলিপাইনের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নাটকীয়তা। গত বুধবার ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট দুতের্তে অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র তাকে পদ থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন। থিটু দ্বীপে ফিলিপাইনের উপস্থিতি বাড়াতে ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা উন্নত করতে স¤প্রতি কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে একটি হ্যাঙ্গার, যা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। কোহ আরও বলেন, সামনের দিনগুলোতে এটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। চীনা জাহাজের উপস্থিতি অব্যাহত থাকলে থিটু দ্বীপে ফিলিপাইনের নির্মাণ প্রকল্প, বিশেষ করে হ্যাঙ্গারের কাজ বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com