কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়া ও যশোরের কেশবপুর উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কপোতাক্ষ নদের ওপর অবস্থিত ধানদিয়া—সাগরদাড়ি বাঁশের সাঁকো। উজান থেকে ভেসে আসা শেওলার চাপে বেঙে গেছে সাঁকোটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। একইসঙ্গে এলাকার মানুষরা তাদের প্রয়োজনীয় কর্মসম্পাদনের জন্য নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। কয়েক মাস পার হলেও সাঁকোটি মেরামতের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, উপজেলার সাগরদাঁড়ির কপোতাক্ষ নদের উজানে ভেসে আসা শেওলার চাপে কলারোয়ার ধানদিয়া থেকে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত সাগরদাঁড়ি ডাক—বাংলোর পার্শে কাট বাদামতলা পর্যন্ত বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে কলারোয়া ও কেশবপুর উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের লাখ মানুষের ওপর। এছাড়া পার্শ্ববর্তী তালার পাটকেলঘাটা থানার উপজেলার মানুষের সাগরদাঁড়ি বাজারে আসা—যাওয়া খুবই সমস্যা হচ্ছে। দীর্ঘদিন দুই পাড়ের মানুষ ওই বাঁশের সাঁকোটি ব্যবহার করে আসছেন। তাদের একমাত্র ভরসা এখন খেয়া পারাপার। জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণকে নৌকা পারাপার হতে হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নওশের আলী আক্ষেপ করে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর আজও পর্যন্ত এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এখানকার মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি ব্রিজ বা সেতু নির্মাণ করা খুবই জরুরি। একইসঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে কলারোয়া, পাটকেলঘাটা ও কেশবপুর থানার গ্রামবাসীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে বাঁশের সাঁকোটি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কলারোয়া ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও শেখ মো. রাসেল বলেন, ধানদিয়া—সাগরদাঁড়ি কপোতাক্ষ নদের ওপর সাঁকোটি নির্মাণ করেছিলেন স্থানীয়রা। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় মানুষের চলাচলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সাঁকোটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।