এফএনএস: জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে উসকানি দিচ্ছে। তবে সেই ফাঁদে কোনোভাবেই পা দেওয়া যাবে না। যতই ষড়যন্ত্র হোক তা ব্যর্থ করতে হবে। দেশ এখনও জঞ্জাল ও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি। তাই জাতীয় প্রয়োজনে জনগণের ঐক্যের কোনও বিকল্প নেই।’ তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রোববার সকালে খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় ইস্টার্ন জুট মিলস শ্রমিক ময়দানে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘সকল জাতীয় ইস্যুতে জনগণের ইস্পাতকঠিন ঐক্য প্রয়োজন। এ দেশ কারও একার নয়, সবার। দেশ এখনও পনেরো বছরের জঞ্জালমুক্ত হয়নি। মর্যাদাশীল দেশ গড়ার কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পরনির্ভরশীল নয়, কৃষি ও শিল্পকে গুরুত্ব দিয়ে দেশ গড়া প্রয়োজন। প্রভু নয়, বন্ধুপ্রতিবেশী রাষ্ট্র চাই। কোনও আগ্রাসী হাত আমরা দেখতে চাই না।’ ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের দুটি দেশপ্রেমিক সংস্থাকে ধ্বংস করে। প্রথমেই তারা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এরপর জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে রেখে তিলে তিলে হত্যা করে। কিন্তু তাদের সে অত্যাচার—নির্যাতনের জবাব এ দেশের শান্তিকামী ছাত্র—জনতা জুলাই—আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দিয়েছে।’ ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনা করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত পনেরো বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে কারাগার বানিয়েছিল। তাদের মতের ন্যূনতম বাইরে গেলে সাধারণ জনগণকে খুন, গুম,নির্যাতন ও জেলজুলুম দেওয়া হতো।’ খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ টিটোর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদ মামুনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও যশোর—কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসাইন।