এফএনএস: জাতির আগামীর ভবিষ্যৎ তারেক রহমান, এ কথাটি যদি ভারত মাথায় রাখে তাহলে মীমাংসা তাড়াতাড়ি হবে। তা না হলে যত খেঁাচাখুঁচি করবে, তত শত্রুতা বাড়বে বলে মনে করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘সুশীল ফোরামের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ ও আইন শৃঙ্খলার অবনতির প্রতিবাদে’ এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। দুদু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ কখনো ফ্যাসিবাদ মেনে নেয় না। ইতোমধ্যে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। খেঁাচাখুঁচি শত্রুতা বাড়াবে। এটা ভারতের জন্যও ভালো না, আমাদের দেশের জন্য ভালো না। তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী একটি দেশ একজন গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়েছে। সেই হত্যাকারীর জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টির পায়তারা করছে। এই দেশ (ভারত) বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রকে কোনো দিনও মানতে চায় না। তারা আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে ছাড়া অন্য কোনো দলকে মেনে নিতে চায় না। আমি ওই দেশকে স্পষ্টভাবে বলব, বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করার জাতি না। বাঙালি জাতি বিশ্বের অন্যতম বীরের জাতি। কেউ যদি মনে করে চাপ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশের এই কঠিন সময় জাতির ঐক্য প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হলে ঐক্য দরকার। যেকোনোভাবে আমাদের জাতির ঐক্য রক্ষা করতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে হবে। যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ঐক্যবদ্ধ থাকলে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করা সম্ভব হবে। দুদু আরও বলেন, দেশে ছোটখাটো ঘটনা ঘটতে পারে। সেই ছোটখাটো ঘটনা দিয়ে ফ্যাসিবাদের দোসররা যদি মনে করে, শেখ হাসিনাকে আবার এদেশে প্রতিষ্ঠিত করবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। এদেশের জনগণ কখনো ফ্যাসিবাদের সমর্থন করে না। জনগণ যাকে প্রত্যাখ্যান করে তাকে আর কখনো গ্রহণ করে না। এটা শেখ হাসিনা বুঝতে পারেননি। তিনি বলেন, দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ কষ্টে আছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আগের মতোই আছে, তেমনটা কমেনি। আমরা এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা করি, যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। দেশে আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ নাজুক। ফ্যাসিবাদের দোসররা বিভিন্ন কর্মসূচির নামে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সেটা অনেকটাই দুর্বল। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা নিষি্ক্রয়ভাবে আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।