এফএনএস: রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যে যার অবস্থান থেকে সা¤প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি বিজয়া পুর্নমিলনী পরিষদ ও বাণী অর্চনা উদযাপন পরিষদ—২০২৪ এ অনুষ্ঠানের আয়েজন করে। প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলার ইতিহাস মূলত সৌহাদ্যর্ ও স¤প্রীতির বন্ধনের ইতিহাস। সেই আবহমানকাল হতে এই ভূখণ্ডের মানুষ ধর্ম—বর্ণ নির্বেশেষে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, ধর্ম আমাদের উদারতা, মানবিকতা, অস¤প্রাদিয়কতা ও সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেয়। আবার ধর্মের অপব্যখ্যাই অনেক সময় মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করে। তাই আমাদের ধর্মের মানবিক শিক্ষা গ্রহণ করে বৈষম্যহীন সা¤প্রদায়িক স¤প্রতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবেÍযে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য আমাদের জুলাই বিপ্লবের শহীদরা তাদের জীবন আত্মাহুতি দিয়েছেন। আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনাদের সবার প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যে যার অবস্থান থেকে সা¤প্রদায়িক বিভেদকে প্রতিহত করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব এবং আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট বারকে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির উদাহরণ হিসেবে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরব। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বিগত শতাব্দীর বিভিন্ন সা¤প্রদায়িক সংঘাত আমাদের শিখিয়েছে যে, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ও সহাবস্থান আমাদের জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম মূল ভিত্তি। তাই সবার প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, পারস্পরিক সহাবস্থান ও স¤প্রীতির মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবোত্তর এই নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে আমরা অগ্রগতির পথে নিয়ে যাব। জাতীয় ঐক্য পরিণত হোক এমন এক প্রাতিষ্ঠানিক ঐকমত্যে, যার ওপর ভর করে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ বা স্তম্ভ স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রকৃত অর্থে স্ব স্ব স্বাধীনতা বজায় রেখে সেই জাতীয় ঐক্যকে আরও সৃদৃঢ় করতে সক্ষম হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ধর্মীয় বক্তা স্বামী স্থিরাত্নানন্দজী মহারাজ, উদযাপন পরিষদের আহবায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।