এফএনএস: ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ চলছে, অভিযোগ ভারতের। গত ২৫ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর এ অভিযোগ আরও জোরালো করে ভারত। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের শীর্ষ মিডিয়াগুলোয় বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে মিথ্যাচার চলছে নিয়মিত। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে চলছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনাও। এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে গত ২ ডিসেম্বর আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিসে ভাঙচুর চালায় হিন্দুত্ববাদী একটি সমিতির সদস্যরা। হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় ব্যক্তিগতভাবে কড়া প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। পাশাপাশি যারা প্রতিবাদ করেননি, তাদের নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার আসিফ নজরুল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি প্রশ্ন ছুড়েছেন, জাতীয় সংগীত ইস্যুতে যারা সরব ছিলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ইস্যুতে তাদের অনেকে নীরব কেন?’ গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে ‘স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থি’ আখ্যা দিয়ে তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। সে সময় তার বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা। এছাড়াও বাম ঘরানার সব রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকরাও প্রতিবাদ জানিয়েছিল। বিষয়টি দেশের সার্বভৌমত্বকে খাটো করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল তাদের। কিন্তু এখন দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে ভারতের আগ্রাসন ইস্যুতে তাদের অনেকেই নীরব আছেন। এ বিষয়টি ইঙ্গিত করেই আসিফ নজরুল ওই পোস্ট দিয়েছেন। আসিফ নজরুলের সেই পোস্ট দেওয়ার পর ৫২ মিনিটের মধ্যে ৫৬ হাজার রিঅ্যাক্ট জমা পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৩ হাজার ২০০টির বেশি। আর কমেন্ট জমা পড়ছে অগণিত। অনেকেই ড. আসিফের প্রশ্নের জবাবে লিখেছেন, তারা দেশপ্রেমিক না, তারা ভারতপ্রেমী।