এফএনএস বিদেশ : ভারতের আসামে হোটেল, রেস্তোরাঁ বা প্রকাশ্যে গরুর গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিভিন্ন রাজ্যেই এ সিদ্ধান্দের নিন্দা জানানো হচ্ছে। এবার মেঘালয় রাজ্যের বিজেপির বিধায়ক তথা বরিষ্ঠ নেতা সানবর সুলাই বলেছেন, ভারতীয় সংবিধান যেখানে গরুর গোশত খাওয়া নিষিদ্ধ করেনি, সেখানে সরকার এভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে না। তার মতে, বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন দেশে মানুষ সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, পোকা সব খেয়ে থাকে। খাওয়া নিজস্ব পছন্দের বিষয়। তা নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয় নয়। সুলাই জানান, বিষয়টি নিয়ে তার আপত্তি তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন মেঘালয়ে খাবারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে দেবেন না। এদিকে আসামে গরুর গোশত বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের পরে মুসলিমদের একাংশের তরফে মসজিদের আশপাশে শূকরের মাংস বিক্রি বন্ধ করারও দাবি তোলা হয়েছিল। তবে ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, কোনো ধর্মে শূকরকে মা—বাবা হিসেবে পূজা করা হয় না। তাই এই দাবি অবান্তর বরং শূকরের মাংস আসামের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশ। তাই শূকর পালন যারা করতে চান তেমন যুবাদের জন্য আগামী বাজেটে সরকার আরো ভালো প্রকল্প আনতে চলেছে। রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা গোমাংস বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সব ধর্ম—স¤প্রদায়কে নিয়ে একসাথে বৃহত্তর সমাজ গড়ে তুলেছিলেন। তিনিও গরুর গোশত বন্ধের কথা বলেননি।’ হিমন্ত আজ তার জবাবে বলেন, ‘আমরা গরুকে মা বলে পূজা করি। গরুর গোশতের সাথে শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নাম জড়িয়ে সুরুচির পরিচয় দেননি বরা। শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র লীলায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে গরু। গরু আমাদের পূর্বপুরুষের যত উপকার করেছে তা আর কেউ করেনি। বরার উচিত আগে ভালো করে শঙ্করদেব বা বৈষ্ণবধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা করে কথা বলা।’