দৃষ্টিপাত রিপোর্ট \ দেশের সম্ভাবনাময় পোল্টি্র শিল্প অর্থনীতিকে বিশেষ চাঙ্গা রেখেছে। সেই সাথে বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকার শ্রেণি পোল্টি্র শিল্পের সাথে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করেছে। স¤প্রতি পোল্টি্র মুরগীর পাশাপাশি ডিমের মূল্যও বেড়েছে। বিগত দিনে করনা ভাইরাস, বার্ডফ্লু সহ নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা সেই সাথে ব্যবসায়ীদের অব্যাহত লোকসানের মুখে পোল্টি্র চাষে কিছুটা ছন্দপতন ঘটে যে কারণে ডিমের মূল্যও বৃদ্ধি পায়। গত কয়েক মাস যাবৎ দেশীয় বাজারে ডিমের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভোক্তা তথা ক্রেতা সাধারণের মাঝে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করতে থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বিশ্ববাজার হতে ডিম আমদানীর অনুমতি দিয়েছে। ১৯ট প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হতে ডিম আমদানীর অনুমতি গ্রহণ করেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে সর্বসাকুল্যে সরকার ২৭ কোটি ৩০ লাখ পিস ডিম আমদানীর অনুমতি প্রদান করেছে। উক্ত ডিম আমদানীর অনুমতি বলবৎ থাকবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। ডিম আমদানীর ক্ষেত্রে আমদানীকারকরা শুল্পহারের ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধা পাবে বলে জানা গেছে। উৎপাদন সরবরাহ এবং চাহিদার সাথে বাজার ব্যবস্থায় তার প্রভাব পড়ে। দেশে ডিম উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় বাজারে সরবরাহ ডিম চাহিদার তুলনায় কম যে কারণে ডিমের মূল্য উর্ধমুখি। এই মুহূর্তে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটাতে হবে। আমাদের দেশের উদ্যোক্তাদেরকে পোল্টি্র ব্যবসায় মনোনিবেশ করতে হবে। দেশের যুবক শ্রেণিদের মাঝে সর্বাধিক পোল্টি্র চাষের সাথে সংশি¬ষ্ট দেখা যায়। যুবকদের শক্তি, সাহস, উদ্যম অপরাজেয় বিধায় প্রতিবন্ধকতার কারণে বা লোকসানের ক্ষেত্রে যারা এই চাষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদেরকে এগিয়ে রাখতে হবে। ডিম আমদানী বর্তমান ডিমের বাজার ব্যবস্থায় সুফল আনছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বা হচ্ছে কিন্তু ডিম আমদানীল প্রভাব আবার পোল্টি্র শিল্পের জন্য অসনিসংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সরকার কেন ডিম আমদানীতে আগ্রহী কারণ দেশে উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকায়। সময় এসেছে দেশের পোল্টি্র শিল্পকে রক্ষা করা একাধারে এগিয়ে নেওয়া। দেশে যখন পর্যাপ্ত ডিম উৎপাদন হবে, মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে, বাজারে ডিমের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে তখন তো ডিম আমদানীর প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ বেশি বেশি ডিম উৎপাদনমুখীতার বিকাশ নেই। এক্ষেত্রে সংশি¬ষ্ট কতৃর্পক্ষকে বিশেষ সহায়কের ও দায়িত্বশীলতার ক্ষেত্রে পৌছাতে হবে। পোল্টি্র বাচ্চার সরবরাহ সিন্ডিকেটমুক্ত বাচ্চার উপস্থিতি, সবল স্বচ্ছ বাচ্চার নিশ্চয়তা, রোগ প্রতিরোধ ও পোল্টি্রখাদ্যের মূল্য হ্রাস, উৎপাদন ব্যবস্থার প্রধান উপকর জ্বালানি তথা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে পোল্টি্রর জন্য বিশেষ ছাড় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ডিম আমদানী অব্যহত থাকলে পোল্টি্র শিল্পের মৃত্যু ঘন্টা বাঁজতে থাকবে বিধায় উৎপাদনই শেষ কথা। বেশি বেশি পোল্টি্রফার্ম গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে স্বনির্ভর, স্বাবলম্ব করতে হবে একই সাথে দেশের অর্থনীতির চাকাকে এগিয়ে নিতে হবে। সর্বপরি আমরা আমদানী নির্ভর না হয়ে আমাদের উৎপাদিত ডিম রপ্তানী করতে পারি।