এফএনএস: ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম অর্থাৎ আগামী ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর হবে বা যারা এরই মধ্যে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ করেছেন কিন্তু ভোটার হননি, তাদের ভোটার হওয়ার আহ্বান জানাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে নিজ নিজ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেছে সংস্থাটি। গতকাল সোমবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আগামী ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার পূর্বে তারা যদি ভোটার না হয়ে থাকেন তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগপূর্বক ভোটার হওয়ার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে গতকালের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিটি ওপরের তথ্য দ্বারা সংশোধন করা হলো। গত রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশের লক্ষ্যে যাদের এনআইডিতে ভুল আছে, তারা যেন সংশোধনের আবেদন করেন। আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে ইসি। সস্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি অনুযায়ী হালনাগাদ ভোটার তালিকা হয়ে থাকে এ পর্যন্ত ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে, যেটা ১ জানুয়ারি ২০২৫ সালে আমরা সন্নিবেশ করবো এবং তারা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকায় যুক্ত হবেন। তবে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এই তথ্যটা পূর্ণাঙ্গ হয় না কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন না আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারতো এই সংখ্যাটা। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ তথ্য আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ আমরা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর বাকি চার লাখ আমাদের বিভিন্ন অফিসে এসে এই বছরে নিবন্ধন করেছে অর্থাৎ আমাদের ধারণা ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার, কম-বেশি হতে পারে, যারা কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য তিনি আরও বলেন, যারা বাদ পড়লেন আমরা চাই তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হোক এজন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করবো। এই বাদপড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুযারি যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন তাদের তথ্যও আমরা বাড়িবাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করবো।